অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে সন্ত্রাসীদের বাধা, লিডার শরীফকে পুলিশে দিলেন মেয়র!
স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর শহরে রাস্তার উপর ও ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে অভিযানে বাধা দিয়েছে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ শরীফের নেতৃত্বে একটি দল। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের পালের বাজার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময় এ ঘটনা ঘটে। এসময় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য চাঁদাবাজ (লাইনম্যান) রাজীব উচ্ছেদ অভিযানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের রগ কেটে দেয়ার হুমকি দেন। খবর পেয়ে পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে চাঁদাবাজা ও সন্ত্রাসী শরীফকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
জানা যায়, নতুন বাজার পুরান বাজার ব্রিজের উপর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময় চাঁদাবাজ রাজীব উচ্ছেদ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুমকি-ধমকি দেয়। এমনকি রগ কেটে দেয়ারও হুমকি দেন রাজীব। এসময় রাজীবকে উৎসুক জনতা গণপিটুনি দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে রাজীব সটকে পড়ে। এর কিছুক্ষণ পর সন্ত্রাসী শরীফের নেতৃত্বে পৌরসভার কর্মচারীদের গাড়ি বহর আটকে দেয়া হয়। এসময় অনেক সময় ধরে সন্ত্রাসী শরীফের সাথে পৌর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাকবিতন্ডার চলে। পরে খবর পেয়ে পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এসময় ঘটনাস্থল থেকে শরীফকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন মেয়র। এমন দৃশ্য দেখে উপস্থিত জনতায় আনন্দে করতালি দেন। মেয়রের এমন ভূমিকায় উপস্থিত শহরবাসী ভূয়সী প্রশংসা করেন। এবং বলতে শুরু করে এমন মেয়র-ই তো চেয়েছিলাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সুত্র জানায়, ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা থেকে মাসোহারা নিতেন শরীফ বাহিনী। চাঁদা তুলতেন লাইনম্যান হিসেবে পরিচিত রাজীব। যা পরে শরীফের নেতৃত্বে ভাগবাটোয়ারা করা হতে। শরীফ বাহিনীর চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ কাঁচা বাজারের আড়ৎদাররাও।
পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কর আদায়কারী প্রধান তৌহিদুল ইসলাম চপল জানান, সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি ও রগকাটার হুমিক দেয়। এসময় মেয়র স্যারের নেতৃত্বে সন্ত্রীদের রুখে দেয়া হয়।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত উদ্দিন পিপিএম জানান, চাঁদাবাজ শরীফসহ মোট ৭জনের বিরুদ্ধে পৌর কর্তৃপক্ষ একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছে। বাকী আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত: শহরের সুন্দর্যতা বাড়াতে গত সোমবার থেকে শহরের সড়কের আশপাশসহ বিভিন্ন অলিতে গলিতে উচ্ছেদ অভিযান চালায় পৌর কর্তপক্ষ। গত সোমবারও শহরে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। গত দুই দিনে প্রায় চার শতাধিক ভাসমান দোকানপাঠ উচ্ছেদ করা হয়।