চাঁদপুরে মাদক সহ আটক আসামিকে ৩৪ ধারায় আদালতে চালান
শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
চাঁদপুরে মাদক সহ আটক আসামিকে ৩৪ ধারায় আদালতে চালান দিয়েছে মডেল থানা পুলিশ। আটককৃত হচ্ছে- বিল্লাল মাঝির ছেলে আমিনুল ইসলাম রাজু(২৮)।
জানা যায়, গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় মডেল থানা এস আই মহিউদ্দিন ও এএসআই আহসানুজ্জামান লাবু সঙ্গীয় ফোর্স আমিনুল ইসলাম রাজুকে ধাওয়া করে শহরের নাজির পাড়া থেকে আটক করে। এসময় তার সাথে ইয়াবা ও গাঁজা পাওয়া যায়। আটকের পর থেকে ক্ষমতাসীন দলের উচ্চ পদস্থ বিভিন্ন তদবিরে আমিনুল ইসলাম রাজুকে ৩৪ ধারায় মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করে। আদালত আমিনুল ইসলাম রাজুকে জামিনে মুক্তি দেয়।
পুলিশ জানায়, আটকৃত রাজুর বিরুদ্বে নাশকতার বেশ কিছু মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন সে পলাতক থাকার পর তাকে আটক করা হয়েছে। পৌর কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন মাঝীর ছেলে আমিনুল ইসলাম রাজুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর রাজনৈতিক দলের নেতারা তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা শুরু করে। পুলিশের উধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাকে ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরন করে। পরে আদালত থেকে আমিনুল ইসলাম রাজু জামিন পেয়ে মুক্তিপায়।
এ বিষয়ে মডেল থানার ওসি এ এইচ এনায়েত উদ্দিন পিপিএম বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। তবে আমি বিষয়টি দায়িত্বরত অফিসারদের জিজ্ঞেস করে দেখি, তার আপনাদের বলবো।
এএসআই আহসানুজ্জামান লাবু জানান, আমিনুল ইসলাম রাজুর সাথে ২ পিচ ইয়াবা ও গাঁজা পাওয়া যায়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। পরে আমার উধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাকে ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরন করি।
আমিনুল ইসলাম রাজুর বাবা পৌর কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন মাঝীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, রাজুর সাথে কোন মাদক পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। ২টি মামলায় অসুস্থ থাকার কারণে হাজিরা দিতে পারেনি। তাই পুলিশ তাকে আটক করে। বিভিন্ন শুপারিশে রাজুকে ৩৪ ধারায় সন্দেহ জনক ভাবে আসামী করে আদালতে প্রেরণ করলে তাকে আদালত মুক্তি দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানায়, আমিনুল ইসলাম রাজু মাঝি এলাকায় দীর্ঘ দিন যাবত মাদক বিক্রি করছে। পূর্বেও বেশ কয়েক বার রাজু মাদক বিক্রির দায়ে আটক হয়েছে। তাদের পরিবারের লোকজনের ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেই প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। প্রতিবাদ করলেই রাজু দলবল নিয়ে তাদের মারধর করে। এলাকাবাসী আরো জানান, রাজু আটকের পর আমরা একটু শস্তি পেছিলাম। কিন্তু যখন শুনলাম রাত পোহাতেই সে তার বাবা সকলকে ম্যানেজ করে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। আমরা এখন ভয়ে মধ্যে রয়েছি।