চাঁদপুরে নৌ-টার্মিনালে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ

 In চাঁদপুর, প্রধান খবর, শীর্ষ খবর




শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥



চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। একদিকে সিএনজি স্কুটার চালকদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ছে যাত্রীরা, অপরদিকে ডাকাতিয়া নদীতে ইচলী পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় চাঁদপুরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের যাত্রীদের ভারী মালামাল নিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।



চাঁদপুর-ঢাকা-ইচলীর মধ্যে প্রতিদিন প্রায় ২৪/২৫টি যাত্রীবাহী লঞ্চ সরাসরি চলাচল করছে। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে নাড়ীর টানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার যাত্রী প্রতিদিন লঞ্চযোগে চাঁদপুর ঘাটে আসা যাওয়া করছে। এসব যাত্রীর অধিকাংশ চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে এসে লক্ষ্মীপুর-রায়পুর-নোয়াখালী-রামগঞ্জসহ পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছে।



দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লঞ্চ যাত্রীরা চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে নামার পর এক শ্রেণির দালাল ও সিএনজি স্কুটার চালক তাদের লাগেজ ধরে টানা হ্যাচড়া শুরু করে। তাদের এ অত্যাচারে যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। সিএনজি স্কুটার চালকরা তাদের যানবাহনে জোরপূর্বক উঠিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে তাদের ইচ্ছা মত ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে। নৌ-টার্মিনালে দায়িত্ব পালনরত নিরাপত্তা পুলিশ সদস্যরা পর্যন্ত সিএনজি স্কুটার চালকদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তারা যাত্রীদের জিম্মি করে পূর্বের ভাড়ার চাইতে ৫/১০ গুণ বেশি ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে। ঢাকা থেকে যেসব যাত্রী ইচলী নেমে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেত তারা পড়েছে মারাত্মক বিপাকে। ডাকাতিয়া নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত দু-সপ্তাহ ধরে নতুন বাজার-পুরাণবাজার সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লঞ্চগুলো ইচলী লঞ্চঘাটে না গিয়ে যাত্রীদের চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে নামিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে সিএনজি স্কুটার চালকরা যাত্রীদের ইচলীসহ আশপাশ এলাকায় যেতে ১শ’ টাকার স্থলে ৫শ’/৭শ’ টাকার হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেক যাত্রীকে ঘাটের ইজারাদার, লেবার, লঞ্চের স্টাফসহ ঘাটে থাকা দালালদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারানোর ঘটনাও ঘটছে। তাদের মালামাল লাগেজ হারাচ্ছে বলেও প্রতিদিনই যাত্রীদের এরকম অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।



অথচ চাঁদপুর নৌ-টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ লঞ্চগুলো ইচলীঘাটে যাত্রী উঠানামা করার সুযোগ করে দিলে যাত্রীরা হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেত। দেখা যাচ্ছে নৌ কর্তৃপক্ষ এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে যানবাহন থেকে টোল আদায় করে লাভবান হলেও তা হচ্ছে ব্যক্তি বিশেষে লাভবান। কেননা বিআইডব্লিউটিএর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী বিনা রশিদে যানবাহন থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে বলে এমন অভিযোগ অটো রিক্সার চালকদের। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাতে নির্বিঘেœ যাতায়াত করতে পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও ঈদের পূর্বেই চাঁদপুর –ইচলী রুটে লঞ্চ চলাচলের দাবি জানিয়েছেন যাত্রী সাধারণ ও ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে বন্দর কর্মকর্তার ও উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমার টিসিরা প্রতি যানবাহন থেকে ৫ টাকা করে টোল নিয়ে থাকে রিসিটের মাধ্যমে। অতিরিক্ত টোল নেওয়ার কথাটি চালকরা সঠিক বলেনি।

Recent Posts

Leave a Comment