সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সীমা বাড়াতে আবেদন

 In জাতীয়, লিড নিউজ




আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতিতে চলমান সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সীমা কমপক্ষে এক মাস বাড়াতে সরকারের কাছে আবেদন করেছে দুই মুঠোফোন

অপারেটর। এ জন্য
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে চিঠি দিয়েছে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক।



বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৭ কোটি ৩৩ লাখ সিম সফলভাবে নিবন্ধিত হয়েছে। এ সময়ে আঙুলের ছাপ ও তথ্য না মেলায় ১ কোটির বেশি সিমের নিবন্ধন সফল হয়নি। বর্তমানে দেশে চালু থাকা মোট সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ৮ লাখ। সে হিসাবে মোট সিমের ৫৬ শতাংশ এখন পর্যন্ত সফলভাবে নিবন্ধিত হয়েছে।



বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, সিম নিবন্ধন শেষ করতে গ্রামীণফোন আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত দুই মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। আর বাংলালিংক আগামী ৩১ মে পর্যন্ত এক মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। সব সিমের নিবন্ধন ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে অপারেটরদের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সরকার।



সময় বাড়ানোর কারণ সম্পর্কে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, আদালতের শুনানি চলার ছয় সপ্তাহে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমে অনেকটা ভাটা পড়ে। এ ছাড়া দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহ ও সিলেট অঞ্চলের আকস্মিক বন্যার কারণেও সিম নিবন্ধন কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই নিবন্ধনের সময় যৌক্তিকভাবে বাড়ানো দরকার। ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রামীণফোনের ৩ কোটি ৬০ লাখ, বাংলালিংকের ২ কোটি ৪ লাখ, রবির ১ কোটি ২০ লাখ ও এয়ারটেলের ৪০ লাখ সিম সফলভাবে নিবন্ধিত হয়েছে।



মুঠোফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবীর বলেন, সিম নিবন্ধনে গ্রাহক ও অপারেটরদের আগ্রহের অভাব নেই। তবে যে সময় বাকি আছে তাতে সব সিমের নিবন্ধন শেষ করা সম্ভব নয়। এ জন্য সময় বাড়ানো দরকার।



জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, সিম নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়াতে অপারেটরদের আবেদনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো জনগণ কী চায়। জনগণ যদি মনে করে আরও সময়ের প্রয়োজন, তাহলে সরকার সেটি অবশ্যই বিবেচনা করে দেখবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে আজ বৈঠক হবে।

Recent Posts

Leave a Comment