আম্মা আর আমি বাইরে যেতে চাইসিলাম আমার এক বান্ধবীর বাসায় (বান্ধবীর নাম মেনশন করলাম না)। সারাদিন প্ল্যানিং করার পর আমি আব্বার কাছে অনুমতি চাইতে গেসিলাম। অনুমতি চাওয়ার সময় আব্বা বলে “তোমার আম্মাকে বলো ওর মত চলে যেতে। আমি তোমাকে দিয়ে আসবো”। আমি বললাম “আজব তো। আমি আর মা এই জিনিস প্ল্যান করসি। তুমি কেন interfere করতেসো?” আব্বা বলল “বাপ হিসেবে আমার এই অধিকার আছে”। আমি বললাম “কিন্তু আম্মার সাথে প্ল্যান নষ্ট করার অধিকারও তোমার নাই”। আব্বা বলে “main thing is….তোমাকে ওই মহিলার সাথে যেতে দিব না। গেলে আমার সাথে যাবা, নাহলে নাই”। আমি বলি “কি এমন করসে যে এত ক্ষতিকর মনে করো আম্মাকে? হ্যা?” আব্বা কিছু না বলে নিজের ঘরে চলে যায়ে। পরে বাধ্য হয়ে আম্মাকে ফোন দিয়ে বলি যে আমি যেতে পারব না আজকে। মা বলে “আমি বুঝছি কি হয়েছে। চিন্তা করিস না বাবা। আর কয়েকটা দিন”। পরে সন্ধ্যা বেলায় আব্বাকে বলি “প্ল্যানটা নষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ” তখনি আব্বা বলে উঠে “তুই কি ঝগড়া লাগাইতে চাস? তোর আম্মার মত হয়েছিস”। আমি বলি “আমার আম্মার নামে এইসব কথা বলবা না। খবরদার!” আব্বা বলে “তোর মায়ের সাথে কথা বন্ধ কর, এই কথাগুলাও বন্ধ হয়ে যাবে।” আমি বলি “বন্ধ করবো না!” আব্বা তখনি রান্নাঘরে গিয়ে একটা বড় চাকু নিয়ে এসে আমার গলায় ধরে বলে “কি বললি? শুনতে পাইনি” বললাম অল্প শুরে “বন্ধ করবো না। মেরে ফেলতে চাইলে মারো। আম্মাকে তো আমার সামনে মারার চেষ্টা করেছো। সিউরলি এটাও পারবে।” আব্বা চাকুটা ছুড়ে মাটিতে ফেলে দিলো। কিছু না বলে চলে যায়ে ঘরে……।
আব্বা একটা বড় চাকু আমার গলায় ধরে’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহান জলির আত্মহত্যা ও সুইসাইড নোটের কিছু লেখা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে। সুইসাইড নোটে আকতার জাহান তার একমাত্র ছেলে আয়মান সোয়াদ আহমেদের গলায় তার বাবা তানভির আহমদ ছুরি ধরেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া আয়মান সোয়াদ সোমবার রাতে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বাবাকে দোষী করে বলেন, তার মাকে তার বাবা তার সামনেই মারার চেষ্টা করেছিল।
Recent Posts