মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিতর্ক চলাকালীন জনমত জরিপে দেখা যায়, হিলারির পক্ষে ৪৬ শতাংশ ও ট্রাম্পের পক্ষে ৪৪ শতাংশ সমর্থন আছে।
বিতর্কে বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি জানান, গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন বিভিন্ন সংঘর্ষে। তাই দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিত স্বাভাবিক করার দাবি জানান তিনি। আর এ ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্য বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।
অন্যদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা বলেন হিলারি। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্কার আনবেন বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে বর্তমান অস্ত্র আইনে সংস্কার আনার কথা জানিয়েছেন হিলারি।
বিতর্কে যুদ্ধ ও কর্মসংস্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু স্থান পেয়েছে। ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই নির্বাচনী বিতর্কে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা এবং করারোপের বিষয়টিও স্থান পেয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে হিলারির ট্রাম্পকে কোনঠাসা করার পর ট্রাম্প উত্তর দেন, এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে, হিলারি ক্লিনটন অপরাধ-সংক্রান্ত আইন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।
কর্মসংস্থান নিয়ে বর্তমান অবস্থার সমালোচনা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো গুটিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের লোকজন চাকরি পাচ্ছে না। দৃঢ় চীনা অর্থনীতি ধাক্কা দিচ্ছে মার্কিন অর্থনীতিতে। আর এ কারণেই প্রয়োজন কর কমিয়ে দেওয়া।
শুরু থেকেই কর হ্রাসের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন ট্রাম্প। তাঁর মতে, কর হ্রাসের ফলে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসা করতে পারবে। অন্যরা ব্যবসার জন্য এগিয়ে আসবে। বর্তমান করনীতিতে পুঁজিপতিরা উৎসাহী নয়।
অন্যদিকে, কর হ্রাসের বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন হিলারি ক্লিনটন। তিনি বলেন, ‘আমি ধনীদের কর কমিয়ে দেওয়ার পক্ষে নই।’
হিলারি বলেন, ছোট ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসুক। ধনীদের যথেষ্টই অর্জন আছে। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প ভাগ্যবান। তিনি ধনীর ছেলে ছিলেন। বড় সম্পদ দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। আমার বাবা ছিলেন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।’
জ্বালানি নিয়ে বর্তমান নীতির সমালোচনা করেন ট্রাম্প। অন্যদিকে, সৌরশক্তি সম্ভাবনা নিয়ে যুক্তি তুলে ধরেন হিলারি।
নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক বিভিন্ন মন্তব্য করেন বলে জানান হিলারি। তিনি এসব মন্তব্য উপস্থাপনও করেন।