বিধ্বস্ত টাম্পাকোয় সাংবাদিক প্রবেশে মানা

 In আইন আদালত, জাতীয়, দেশের ভেতর
বিধ্বস্ত টাম্পাকোয় সাংবাদিক প্রবেশে মানা
ধ্বংসস্তূপে লাশ খুঁজছেন স্বজনরা

প্রতিবেদক।। টঙ্গীতে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত টাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় পেশাগত দায়িত্ব পালনে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর সোমবার থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। উদ্ধার তৎপরতায় যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য সাংবাদিকরা নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে যেতে পারবে না বলে জানিয়েছেন শিল্প পুলিশের এএসপি মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এএসপি বলেন, ‘সেনা কর্মকর্তা‌দের নি‌র্দে‌শে এবং উদ্ধার কা‌জের সু‌বিধা‌র্থে এ বি‌ধিনিষেধ করা হয়েছে। যাতে উদ্ধার তৎপরতায় কোনো অসুবিধা না হয়।’এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় ধ্বংসস্তূপ অপসারণের কাজ দশমদিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। সোমবার সকা‌লে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা কারখানা এলাকায় গে‌লে নি‌র্দিষ্ট এলাকার বাইরে যেতে তাদের বাধা দেওয়া হয়।

এসপি বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের তালিকাভুক্ত ১১ নিখোঁজ শ্রমিক ছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয়ের কেউ থাকলেও তাদের সন্ধানে কাজ করছে উদ্ধারকারীরা। ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ধসে যাওয়া ভবনের জঞ্জাল ড্রাম ট্রাক দিয়ে সরানো হচ্ছে।’

‘তবে ধ্বংসস্তূপে আর কোনো কোনো মরদেহ মেলেনি’— বলেন এএসপি।

গত ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে বিসিক শিল্প এলাকায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন টাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় গ্যাস সঞ্চালন লাইন বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণে চারটি ভবনের তিনটি ধসে পড়ে।

টাম্পাকো দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ৩৫ জন। স্বজনদের ভাষ্যমতে নিখোঁজ রয়েছেন ১১ জন।

এরইমধ্যে ২৮টি লাশ সনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি লাশ ডিএনএ টেস্টের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছেন। লাশগুলো বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

এরইমধ্যে কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলা হয়েছে। দুর্ঘটনার দুইদিন পর কারখানা মালিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করেন নিহত শ্রমিক জুয়েলের বাবা আব্দুল কাদের।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে কারখানা মালিকসহ ১০ জনকে আসামি করে দ্বিতীয় মামলা করে টঙ্গি থানা পুলিশ। তবে আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।

Recent Posts

Leave a Comment