সোমবার বেলা ১১ টার দিকে বরিশালের গৌরনদী থেকে সাইফুল ও সুজনকে গ্রেফতার করা হয় বলে র্যাবের একটি সূত্র জানায়। পরে রাত ১০টার দিকে ঢাকার ভাষানটেক থেকে ধরা হয় মাসুদকে। এসময় সাইফুল ও সুজনের কাছ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৩২ টাকা উদ্ধার করার কথা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক তিনজন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। তারা টাকা লুটের জন্যই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে র্যাবের ওই সূত্র জানায়।
আলী হোসেন সর্বশেষ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ছিলেন। এর আগে বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন তিনি।
গত ১১ অক্টোবর রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসের একটি বহুতল ভবন থেকে আলী হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে হাত-পা বেঁধে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানায়।
শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসর নেওয়ার পর বনানী ডিওএইচএসের ২ নম্বর সড়কের ওই বহুতল ভবনটি দেখাশোনার দায়িত্ব নেন আলী হোসেন। বাড়িটি মো. বাবলু নামের এক ব্যক্তির। তার ছেলে মালয়েশিয়া যাওয়ায় বাড়িটি দেখাশোনা করতেন আলী হোসেন। বাড়ির দুই তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিয়া ও সাইফুল চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে থাকেন। আলী হোসেন ওই ফ্ল্যাটের আরেকটি কক্ষে বসতেন এবং মিরপুর ১০ এ অবস্থিত নিজের বাসায় না ফিরলে সেখানেই থাকতেন বলে তার স্বজন এবং স্থানীয়রা জানান।