হরতালের কারণে খাগড়াছড়িতে আটকা পড়েছে শতাধিক পর্যটক। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ।
এদিকে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে পিকেটিং করতে দেখা গেছে বাঙালি সংগঠনের নেতাকর্মীদের। হরতালের কারণে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ ৬টি নৌ-রুটেও সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে হরতালে নাশকতা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। বান্দরবানেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। একই দাবিতে এ তিন জেলায় রোববার ভোর ৬টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্তও ২৪ ঘণ্টা হরতাল পালন করবে সংগঠনগুলোর।
পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন বাতিল ও খাগড়াছড়ি আলুটিলা বিশেষ পর্যটন জোন প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য সমঅধিকার আন্দোলন, পার্বত্য গণপরিষদ, পার্বত্য বাঙালি ছাত্রপরিষদ ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র ঐক্য পরিষদ যৌথভাবে তিন পার্বত্য জেলায় বৃহস্পতি ও রোববারে ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক দেয়। এ ছাড়া ৪ সেপ্টেম্বরও হরতাল পালন করবে সংগঠনগুলো। এর আগে এ তিন জেলায় ১০ ও ১১ আগস্ট হরতাল পালিত হয়।
১ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ভেটিং সাপেক্ষে ‘পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। ৯ আগস্ট তা অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে ৬ অক্টোবর জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধিত) বিলটি ২০১৬ পাস হয়।