ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজী ভবনের দ্বিতীয় তলার পশ্চিম ব্লকে ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ইনস্টিটিউটে বর্তমানে শ্রেণি কক্ষ রয়েছে দুটি। সকাল-সন্ধ্যায় সেখানে ক্লাস নেওয়া হয়। ইনস্টিটিউটটিতে বর্তমানে শিক্ষক রয়েছেন মোট ১১ জন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটিতে এমফিল ও পিএইচডি ছাড়াও এক বছর মেয়াদে পিজিডিএড এবং এমএড কোর্স চালু রয়েছে।
যেকোনো বিভাগ থেকে স্নাতক করা শিক্ষার্থীরা পিজিডিএড কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। দুটি সেমিস্টারে তাদের এই কোর্স সম্পন্ন করা হয়। তবে এমএড কোর্স করতে চাইলে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পিজিডিএড বা বিএড কোর্স করা থাকতে হবে। তাহলেই কেবল ওই শিক্ষার্থী এমএড কোর্সে এক বছরের জন্য ভর্তি হতে পারবেন।
এছাড়াও চার বছরের বিএড কোর্সে এবার দ্বিতীয় ব্যাচে ৫০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হবে।
ইনস্টিটিউটটি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষা ও গষেণা ইনস্টিটিউটের স্বতন্ত্র বোর্ড অব গভর্নরস রয়েছে। ইনস্টিটিউটের পরিচলনা কার্যক্রম বোর্ড অব গভর্নরসের ওপর ন্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদাধিকারবলে বোর্ড অব গভর্নরসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ইনস্টিটিউটের অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রয়েছে কমিটি, নির্বাচনী কমিটি ও বোর্ড অব স্টাডিজ।
এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কাজ শিক্ষা সংক্রান্ত গবেষণা ও দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা। বর্তমানে শিক্ষার উপর পিএইচডি, এমফিল, পিজিডিএড, এমএড কোর্স চালু রয়েছে। এছাড়াও চার বছর মেয়াদী বিএড (সম্মান) কোর্স ২০১৫ সালে চালু করা হয়েছে।
জরিপমূলক ও পরীক্ষামূলক গবেষণার ক্ষেত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ এই ইনস্টিটিউটের উন্মুক্ত গবেষণাগার এবং প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার সমন্বয়ে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এই ইনস্টিটিউটের অধীনে ডেমনেস্ট্রেশন ইউনিট বিভাগে রয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মডেল স্কুলকে ওই ইনস্টিটিউটের ডেমনেস্ট্রেশন ইউনিট-২ হিসেবে আত্তিকরণের বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এই ইনস্টিটিউট সম্ভাব্য সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আনসার উদ্দীন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইনস্টিটিউট হতে বিভিন্ন ডিগ্রী দেওয়া হচ্ছে। গত ১৬ বছরে শুধু এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রী পেয়েছেন ৪৫ জন। এছাড়াও পিজিডিএড এবং এমএড কোর্সে অসংখ্য শিক্ষার্থী ডিগ্রী নিয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘চার বছরের বিএড (সম্মান) কোর্সে গত বছর প্রথমবারের মতো ৫০ আসনে ৫২ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হয়। তিনটি গ্রুপে ওই শিক্ষার্র্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রথম ব্যাচের ৪৯ জন শিক্ষার্থী প্রথম সেমিস্টারে পরীক্ষা দিয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে তাঁদের দ্বিতীয় সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবছরও ৫০জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হবে।’
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির সূত্রে জানা যায়, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে চার বছরের বিএড (সম্মান) করার জন্য শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পান। এই অনুষদের অন্য বিভাগের তুলনায় ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা কর্ম জীবনে বাড়তি নানা সুবিধা বেশি পেয়ে থাকেন। দেশের সকল সরকারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে চার বছরের বিএড করা শিক্ষার্থীরাই প্রথম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকুরি পেয়ে থাকেন।