এদিকে, প্রতি বছরেরমতো এবারও পরীক্ষায় জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ সর্তকতা গ্রহণ করা হচ্ছে। যেকোনো ধরনের জালিয়াতি, প্রক্সি (একজনের পরীক্ষা অন্যজন দেওয়া), টাকা লেনদেন ধরা পড়লে মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। আর এ বছর ‘সিট প্লান’ করার কারণে অনিয়ম অনেকাংশেই কমে যাবে বলে ধারণা তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, ভর্তি পরীক্ষায় বিগত বছরগুলোতে কোনো সিটপ্লানিং করা হতো না। ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষা কেন্দ্রের কক্ষ নম্বর জানিয়ে দেওয়া হতো। সিটে বসানোর ক্ষেত্রেও কোনো সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি ছিল না। এক কক্ষে পরীক্ষার্থীরা ইচ্ছামতো বসতে পারতেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভর্তি আবেদন করার সময় কয়েকজন পরিচিত শিক্ষার্থী একই সময়ে আবেদন করতেন। ফলে তাদের রোলগুলো পাশাপাশি হওয়ায় তারা একই রুমে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেতেন। পরীক্ষা কক্ষে ওই সব শিক্ষার্থী, যারা আগেই কোনো না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে তারা যথাসম্ভব চেষ্টা করে অন্য শিক্ষার্থীকে সাহায্য করতে। এসময় তারা ওএমআর সিটও পরিবর্তন করতেন। তবে এবছর প্রথমবারের মতো পরীক্ষার্থীদের সিট নম্বর জানিয়ে দেওয়া হবে। তাই পরীক্ষার্থীরা সে সুযোগ আর পাবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা মিজানুর রহমান বলেন, ‘কক্ষে সিট প্লান থাকলে শিক্ষার্থীরা আর ইচ্ছামতো আসনে বসতে পারবে না। নির্ধারিত আসনে বসেই তাদেরকে পরীক্ষা দিতে হবে। এতে করে পরীক্ষার হলে ভর্তিচ্ছুরা অবৈধপন্থা গ্রহণ করতে পারবে না।’
বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।