তিনি বলেন, শিশুটি আপাতত শঙ্কামুক্ত। আমরা আশা করছি তার জীবনহানির শঙ্কা নাই। তাকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার জন্য উচ্চমাত্রার এন্টি-বায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। সাথে অন্যান্য নার্সিং কেয়ারও চলছে। এক সপ্তাহ পর শিশুটির শারীরিক কন্ডিশন কেমন হয় তার উপর ভিত্তি করে আমরা আবারো মেডিকেল বোর্ড বসাবো।
তিনি বলেন, এখনো শিশুটির গায়ে হাত দিলে সে ব্যাথা পাচ্ছে এবং ভয়ে আঁতকে উঠছে।
তিনি বলেন, শিশুটির ওপর পাশবিক অত্যাচার হয়েছে। নরপশুরা ব্লেড দিয়ে শুধু তার দেহের চামড়া কাটেনি, দেহের হাড় পর্যন্ত কেটে ফেলেছে। তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় কামড় এবং সিগারেটের ছ্যাকার দাগ রয়েছে। তাকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে সে নরপশুর হাতে পরেছিল।
তিনি আরো বলেন, শিশুটির মানসিকভাবে সুস্থ করার জন্য আমাদের ৯ সদস্যের বোর্ডে শিশু মানসিক রোগ বিষেশজ্ঞ রয়েছেন। তাছাড়া সে সুস্থ হওয়ার পর প্লাস্টিক সার্জারির পাশাপাশি নিউরো সার্জারিও করা হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বিশেষ সহযোগীর মাধ্যমে সবসময় শিশুটির চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
পাঁচ বছরের শিশুটিকে গত মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
১৮ অক্টোবর শিশুটি নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সেদিন তাকে পাওয়া যায়নি। পরদিন ভোরে শিশুটিকে তার বাড়ির কাছে হলুদখেতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল, পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ২০ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোসেন কবিরাজ (৪৮)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার চৌধুরী বলেন, ২৪ অক্টোবর রাতে দিনাজপুর শহর থেকে সাইফুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আফজাল পলাতক।