অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর আরাধনার অন্তেষ্ট্যেক্রিয়ায় প্রায় ৬শ’র মতো জৈন ধর্মাবলম্বী উপস্থিত হন। তাকে ‘বল তপস্বী’ হিসেবে উপাধি দেওয়া হয়, জমকালো ‘শোভাযাত্রা’র মতই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
এ কিশোরীরর পরিবার জুয়েলারি ব্যবসার সাথে জড়িত। অনেকেই এ প্রশ্ন করছেন, পরিবার কেন তাকে এভাবে উপবাস করতে দিল।
জৈন ধর্মের অনুসারী লতা জৈন বলেন, ‘এটা জৈন ধর্মের রীতি। এখানে দীর্ঘ সময় উপবাস করার রীতি আছে। পানাহার একেবারে বন্ধ করে রাখেন অনেকেই। যারা এমনটা করতে পারে তাদের জৈন ধর্মের মুরুব্বীরা অনেক সম্মান দেখায়।’
তবে ছোট্ট মেয়েটির উপবাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা তো উপবাস নয়, আত্মহত্যা।’
এরকম অভিযোগের পাল্টা জবাব দেন আরাধনার দাদা মানেকচাঁদ সামধারিয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা তো কিছুই গোপন করিনি। সবাই তো জানত আরাধনা উপবাস করছে। তারা এসে অনেক সেলফিও তুলেছে। এখন আমাদের দিকে প্রশ্ন তুলছে কেন ৬৮ দিন উপবাস করতে দিয়েছি!’
এনডিটিভিতে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, অনেক মানুষের উপস্থিতিতে আরাধনাকে কনের সাজে বসিয়ে রাখা হয়েছে। তার উপবাস শেষ হলে স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ‘পারানা’ উৎসবের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন পদ্ম রাও গুদ নামে তেলাঙ্গানা রাজ্যের এক মন্ত্রী। আরো ছিলেন জহিরাবাদ আসনের বিধায়ক বিবি পাতিল।
বিভিন্ন এনজিও ও শিশু অধিকার সংগঠনের চাপের মুখে বর্তমানে ঘটনাটির তদন্ত করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, জৈন ধর্মের অনেক অনুসারীকে বুড়ো বয়সে উপবাস করতে দেখা যায়। অনশনের মাধ্যমে কেউ কেউ স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণও করে থাকেন।