সুশান্ত পাল ওএসডি, মানসিক চিকিৎসার পরামর্শ

 In বিশেষ প্রতিবেদন

সুশান্ত পাল ওএসডি, মানসিক চিকিৎসার পরামর্শ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নিজের ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় ৩০তম বিসিএসে প্রথম স্থান অধিকারী কাস্টমস কর্মকর্তা সুশান্ত পালকে বিশেষ ব্যবস্থা হিসাবে পদায়ন (ওএসডি) করা হয়েছে।

একই সঙ্গে তার মানসিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহবাগ থানায় সুশান্ত পালের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। মামলার পর সন্ধ্যায় ‍সুশান্ত পালকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সুশাসন ও আধুনিক ব্যবস্থাপনা কাঠামোর জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় বিসিএস শুল্ক ও আবগারী ক্যাডারের কর্মকর্তা সুশান্ত পালকে বিশেষ ব্যবস্থা হিসাবে পদায়ন করা হলো। একই সঙ্গে সন্ধ্যা থেকেই তাকে স্ট্যান্ড রিলিজের আদেশ দেওয়া হয়। এনবিআরের জারি করা প্রজ্ঞাপনে কাস্টমসের সংশ্লিষ্ট কমিশনারকে সুশান্ত পালের মানসিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আদিম বর্বরতা চলে, হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব ব্যাপারে উদাসীন—এমন সব কথা লিখে সুশান্ত পাল ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। পরে এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে সুশান্ত পাল তার ফেসবুকে ক্ষমা চান।

এরপর এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সুশান্ত পালের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সুশান্ত পালের কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যা, বানোয়াট ও নোংরা লেখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী সবাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে গত রোববার প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামে ফেসবুকের গ্রুপ, যেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম, সেখানেও এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়।

মামলায় দ্রুত সুশান্তকে গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। মামলার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও ভূমিকা নিয়ে গুণীজনদের ১৫ পৃষ্ঠার একটি লেখাও সংযুক্ত করা হয়।

মামলার বাদী বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোতাকাব্বির খান জানান, সুশান্ত পাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের হেয় করার জন্য এই জঘন্যতম কাজটি করেছেন। পোস্টে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ হলের মেয়েদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ লেখা দিয়েছেন।

Recent Posts

Leave a Comment