দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ১৫ দল, সাত দল ও পাঁচ দলের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচিতে ছাত্র সংগঠনগুলোর সম্পৃক্ত হয়ে অবস্থান ধর্মঘট ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেয়। সব বাধাকে উপেক্ষা করে সকাল থেকেই সচিবালয়ের চারদিকে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার মিছিল সমবেত হয়। তখন তোপখানা রোডের মুখে পুলিশ বক্স পেরিয়ে শুরু হয় নূর হোসেনদের সাহসী মিছিল, সাহসী এই যুবক উদাম গায়ে লিখেছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তিপাক- স্বৈরাচার নিপাত যাক’।
সমাবেশ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। পল্টন তখন রণক্ষেত্র। এরই মধ্যে খবর আসে পুলিশের গুলির্বষণে শহীদ হয়েছেন নূর হোসেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য। নূর হোসেন আত্মদানের মাধ্যমে সেদিন গণতন্ত্রের নতুন সংগ্রাম শুরু হয়। সেই সংগ্রামের ধারায় ১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী শাসক পদত্যাগের ঘোষণা দেয়।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় গুলিস্তানস্থ নূর হোসেন স্কয়ারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে শহীদ নূর হোসেন দিবস যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।