‘আমাকে নিষিদ্ধ করার রাইটস তাদের নেই’

 In বিনোদন, বিশেষ প্রতিবেদন, সফল মানুষ

 

‘আমাকে নিষিদ্ধ করার রাইটস তাদের নেই’

নাট্যনির্মাতাদের সংগঠন- ডিরেক্টরস গিল্ড শনিবার অভিনেত্রী প্রসূন আজাদকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এর পরপরই এক প্রতিক্রিয়ায় প্রসূন আজাদ বলেছেন, ‘আমাকে নিষিদ্ধ করার রাইটস তাদের নেই।’

জানা গেছে, সম্প্রতি ‘স্বপ্ন সত্যি হতে পারে’ নামের একটি নাটকের শুটিংকে কেন্দ্র করে নির্মাতা ও প্রযোজক রোকেয়া প্রাচীর সঙ্গে অভিনেত্রী প্রসূন আজাদের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে দুজনই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।  এর জের ধরে প্রসূন আজাদের বিরুদ্ধে ১৯ অক্টোবর রোকেয়া প্রাচী অভিযোগ করেন ডিরেক্টরস গিল্ডের কাছে। পরিবর্তন ডটকমের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তাকে নিষিদ্ধ করাসহ নানা প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন এ অভিনেত্রী। নির্বাচিত অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল :

আপনাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে এর ফলে ডিরেক্টরস গিল্ডের কোনো সদস্য (পরিচালক) আপনাকে নিয়ে নাটক বানাতে পারবে না বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?
আমি কারও বেতনভুক্ত কর্মচারী হলে তারা আমাকে বাদ দিতে পারে। যেহেতু আমি একজন ইনডিপেন্ডেন্ট আর্টিস্ট আমাকে বাদ দেওয়ার, নিষিদ্ধ করার রাইটস তাদের নেই। আমিই ঠিক করব- আমি কাদের সঙ্গে অভিনয় করব, কাদের সঙ্গে করব না। যেহেতু আমি স্বাধীনচেতা আর্টিস্ট, আমি কোনো দল করি না, কোনো গিল্ড বুঝি না।

রোকেয়া প্রাচী একজন সিনিয়র অভিনেত্রী, নির্মাতা
অভিনেত্রী হিসেবে রোকেয়া প্রাচী আমার ভীষন পছন্দের একজন অভিনেত্রী ছিলেন। উনি নাটক নির্মাণ করতে চেয়েছেন, আমি তার নাটকে অভিনয় করতে গিয়েছি। অভিনেত্রী হিসেবে আমি তার ভক্ত ছিলাম, কিন্তু ডিরেক্টর হিসেবে তিনি কোনো যায়গা করতে পারেননি। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ডিরেক্টরস গিল্ড আমাকে বাদ দিবে কী, আমিই ওদের আমার কাজের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছি।

 

৩৫০ জন ডিরেক্টর নিয়ে একটা সংগঠন, তাদের  আপনি আমলেই নিচ্ছেন না?
৩৫০ জন ডিরেক্টর মিলে একটা দল বানিয়েছে। ভাবা যায় একটা দেশে ৩৫০ জন ডিরেক্টর! তাও আবার নাটকের! এতজন ডিরেক্টর এক সঙ্গে জোট বাঁধলে কী টেলিভিশন নাটকের এই অবস্থা হওয়ার কথা! আমি ডিরেক্টরস গিল্ডের কোনো ডিরেক্টরকে চিনি না।

বলেন কী?
হ্যাঁ। এখানে কোনো প্রথম সারির ডিরেক্টর আছে কি না তাও আমি জানি না।

রোকেয়া প্রাচীর সঙ্গে কী ঘটেছিল ওই দিন?
ধরেন, একটা প্রডাকশন হাউজের প্রডাকশন বয় যখন আমাদের হাতে চায়ের কাপ দেয় তখন আমরা তাদের থ্যাংকস বলি। একজন প্রডাকশন বয়ের সাথে যেই রকম আচরণ করা উচিত সেই আচরণও আমার সঙ্গে উনি করেন নি। আমার সঙ্গে এতো খারাপ আচরণ করা হয়েছে সেটা আমি মানতে পারি নি। আমি যেখানে আমার সম্মান পাব না সেখানে অভিনয় করব না। আমি অন্য দশ জন অভিনেত্রীর মতো না যে, এ জন্য আমি তাকে স্যরি বলব।

আরেকটু বিস্তারিত বলবেন কী হয়েছিল, যার কারণে এত কিছু
অনেক মানুষের সামনে রোকেয়া প্রাচী চিৎকার করছিলেন। আমার সন্দেহ হচ্ছিল আসলে কোনো শুটিং আছে কি নেই। দৌলতদিয়ার মতো ব্রোথেলে গিয়ে এই নির্মাতার সঙ্গে অভিনয় করার সাহস পাচ্ছিলাম না। ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আমি। আমার এক ভাইকে সঙ্গে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, উনি রাজি হচ্ছিলেন না। একজন আর্টিস্টের সাথে তিন চার জন অ্যাসিস্ট্যান্টও যায় উনি আমার সাথে একজনকে নিতেই রাজি হচ্ছিলেন না। এটা নিয়েই মূলত ঝামেলা হয়।

বিষয়ে আর কিছু বলবেন?
আসলে একজন ডিরেক্টর যখন ইনভেস্ট করেন কোনো প্রডাকশনের জন্য,  তিনি কখনই আর্টিস্টের সঙ্গে ঝামেলা করবেন না। কারণ তিনি আর্থিক ক্ষতি চান না। আউটডোর শুটিংয়ে আগের দিন লাইট, প্রোডাকশনের লোকদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তিনি যদি আগে তাদের পাঠিয়ে দিতেন আমার সঙ্গে এমন আচরণ করতেন না। টোটাল ঘটনাটা পরিকল্পিত ছিল। ডিরেক্টরস গিল্ড ইন্ডাস্ট্রিতে আওয়াজ দেওয়ার জন্য এটা প্ল্যান করে করেছে। আমি যদি এখানে মাথা নিচু করতাম আরো দশটা মেয়ে এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হত। আমি চাই না ওদের গুরুত্ব দিতে।

Recent Posts

Leave a Comment