দলের জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল মেহেদি মারুফের। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেন তিনি। ৪৫ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ৭৫ রানে। ৫টি করে চার ও ছয়ের মার দিয়ে নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি।
অন্যদিকে তাইজুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পা দিয়ে ফিরে যান কুমার সাঙ্গাকারা। এর আগে অবশ্য ২৪ বল খেলে ৩০ রান করেন লঙ্কান কিংবদন্তি। অধিনায়ক সাকিব ব্যক্তিগত ২০ রানের মাথায় বোল্ড হন মনির হোসেনের বলে। ইনিংসের ১৬তম ওভারের শেষ বলে মোসাদ্দেক হোসেনের (১০*) শট থেকে আসা চারের মধ্য দিয়ে জয় তুলে নেয় ঢাকা ডায়নামাইটস।
বরিশালের হয়ে একটি করে উইকেট তুলে নেন মনির হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টুর্নামেন্টের দুর্বল দলের তকমা পাওয়া বরিশাল। শামসুর রহমান (৬), দিলশান মুনাবিরা (১২) ও ডেভিড মালানকে (১৬) দ্রুতই হারিয়ে বসে তারা। মুনাবিরার ফেরার পেছনে অবশ্য পয়েন্টে শূন্যে ভেসে নাসিরের নেওয়া অসাধারণ ক্যাচটি নিয়ামক হয়ে থাকল।
এরপর প্রতিরোধের গল্প। মুশকিকে নিয়ে এ সময় ৮২ রান যোগ করেন শাহরিয়ার নাফিস। জুটিটি ছিল ৫১ বল স্থায়ী। শহিদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৩৪ বলে ৫৫ রান করেছেন নাফিস।
পরে অবশ্য থিসারা পেরেরা (৩) ও রায়াদ এমরিতকে (১) হারিয়ে দ্রুত রান তোলার গতিতে ধাক্কা খায় বুলসরা। কিন্তু মুশফিক এক পাশ আগলে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক। নিজের ইনিংসটি ৪ চার ও ২ ছয়ে ৩৬ বলে সাজিয়েছেন টাইগারদের সাদা পোশাকের অধিনায়ক।
ঢাকার হয়ে ৩ উইকেট নিয়ে সফল বোলার মোহাম্মদ শহিদ। ৪ ওভারে ২১ রান খরচায় এই শিকার পকেটে পুরেছেন তিনি। এছাড়া ৩ ওভারে ২৩ রান দেওয়া সাকিব ও রবি বোপারা ১টি করে উইকেট নিয়েছেন