গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভারতের একটি পরিত্যক্ত কোম্পানি আমাদের দেশে ক্ষতিকর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এর ফলে, নদীর পানি, বাতাস, ফসল দূষিত হবে। জনজীবনে বিপর্যয় নেমে আসবে। এই প্রকল্প বন্ধে দেশের মানুষকে রাজপথে নামার কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয় তাহলে এটাকে বন্ধ করতে হলে রাজনৈতিকভাবে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আজকে দেশ নিয়ে বাজি খেলা চলছে। কোনো ধরাবাধা নেই। যাকে খুশি ব্যবসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
গয়েশ্বর বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের চেয়ারপারসন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের ব্যাপারে অনেক কথা যুক্তি দিয়ে বলেছেন। পরিবেশবিদ, বিজ্ঞানী, বিশিষ্ট নাগরিক সবাই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তাই আমরা মনে করি এই প্রকল্প আমাদের জাতীয় জীবনে মারাত্মক হুমকি।
তিনি বলেন, দেশপ্রেম আর আবেগ দিয়ে এসব বন্ধ করা যাবেনা। মাঠে নামতে হবে। উন্নয়নের নামে মেগা মেগা প্রজেক্ট করা হচ্ছে দুর্নীতির জন্য। কোটি টাকার কাজ এক লাখ টাকায় দেয়া হচ্ছে বিদেশি কোম্পানিকে। মূলত তাদের খুশি করতেই এসব করা হচ্ছে।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আজকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে ভারতীয় ব্যাংকের চড়া ঋণে। আবার বিদ্যুতের দামের অর্ধেক নেবে ভারত। বিয়ষয়টা খুবই রাজনৈতিক।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আজকে দশ বছর যদি আমরা ক্ষমতার বাইরে থাকতে পারি, তবে আরো বিশ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকতে পারবো, কিন্তু জনগণের জন্য কিছু করতে চাই।
বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের অধ্যাপক আজিজুর রহমান, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. আক্তার হোসেন খান, বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল খান প্রমুখ।