ঐকমত্যের নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব খালেদার

 In শীর্ষ খবর

 

আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনকে স্বচ্ছ ও শক্তিশালী করতে তাগিদ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে শক্তিশালী কমিশনের বিকল্প নেই। সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।’

গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে তিনি এ সময় বেশকিছু দফা তুলে ধরেন।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনসহ গত কয়েক বছরের নির্বাচন জনগণের মনে আস্থাহীনতার সৃষ্টি করেছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিতর্কিত। সেজন্য একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের কোনো বিকল্প নেই।’

এ সময় তিনি ইসি পুনর্গঠনে সার্চ কমিটি বা বাছাই কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো ও স্বাধীনতার পর থেকে শুরু করে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে এমন রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বাছাই কমিটি গঠন প্রস্তাব দেন খালেদা জিয়া। সৎ, নিরপেক্ষ, অভিজ্ঞ, নৈতিক ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত বাছাই কমিটির সদস্য হবেন পাঁচজন। কমিটির প্রধান হবেন অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মক্ষম একজন প্রধান বিচারপতি।

এছাড়া আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি, অবসরপ্রাপ্ত সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও দক্ষ যোগ্য নারী থাকবেন এ কমিটিতে।

সব দলের ঐক্যের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের খুঁজে বের করা হবে বাছাই কমিটির কাজ।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও কাঠামো সম্পর্কে খালেদা জিয়া বলেন, ‘নিবন্ধনকৃত রাজনৈতিক দল বা বিভিন্ন সময়ে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বাছাই কমিটি হবে। দুই রাজনৈতিক জোটের (আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট, বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট) দুই মূল প্রতিনিধি, সহায়তাকারী আরো দুজন প্রতিনিধি কমিটিতে থাকবেন। মহাসচিব বা সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ে বৈঠক করতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থা প্রণয়ন বাঞ্ছনীয়।’

খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, লে জে (অব) মাহবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এ জেম এম জাহিদ হোসেন, আহমদ আজম খান।

এছাড়াও প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মোস্তাহিদুর রহমান, ২০ দলীয় জোটের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব) অলি আহমদ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী, বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জে (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানী, এনডিপির চেয়ারম্যার খোন্দকার গোলম মোর্ত্তজা, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Recent Posts

Leave a Comment