গাজীপুর আদালত পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের মধুপুরে আসামি বীথি মামাতো বোনের বিয়েতে ভিকটিম বান্ধবীকে নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমকে তার বান্ধবী বীথি আসামি নুরুজ্জামান, হারুন অর রশিদ, শাহজাহান ও মনিরুজ্জামানের হাতে তুলে দেয়। পরে ভিকটিমকে নুরুজ্জামান গেদার বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। তিনদিন পর অসুস্থ ভিকটিমকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণে সহায়তাকারী বীথির বাড়ির কাছে রেখে পালিয়ে যায়। এতে ভিকটিম আতঙ্কিত হয়ে ঘটনাটি লুকানোর চেষ্টা করে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
পরে ভিকটিম বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই টাঙ্গাইলের মধুপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। ডাক্তারি পরীক্ষা ও ভিকটিমের স্বীকারোক্তিতে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা মধুপুর থানার ওসি মজিবুর রহমান সহায়তাকারী বীথিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ জাহেদ মনসুর ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের স্পেশাল পিপি ফজলুল কাদের। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল।