প্রতিমন্ত্রীর হাতে জামায়াত নেতার ক্রেস্ট

 In দেশের ভেতর

নরসিংদীতে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাবেক এক জামায়াত নেতার হাত থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু (বীর প্রতীক)। বর্তমানে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও তিনি।

ওই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এ তথ্য জানান। এ ছাড়া মন্ত্রী জামায়াত নেতার হাত থেকে ক্রেস্ট নিচ্ছেন তার ছবিও পরিবর্তন ডটকমের হাতে এসেছে। এ নিয়ে খোদ জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। কিন্তু মন্ত্রীর ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সেখানকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর নরসিংদীর জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার উদ্যোগে সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতি মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে প্রতিমন্ত্রীর হাতে বাংলাদেশের মানচিত্র খোদাই করা ক্রেস্ট তুলে দেন নরসিংদী জেলার সাবেক জামায়াতের আমির সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী। জাফরী জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও অধ্যক্ষ।

এ ব্যাপারে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম হিরু বলেন, ‘সে জামায়াতের চেতনায় সম্পৃক্ত আছে কিনা আমার জানা নেই। আমার মনে হয় আপনি কারো মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আছেন। আপনি ভিডিও দেখলে বুঝবেন। এই জামায়াত নেতা তার বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন এভাবে- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। যার আবির্ভাব না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।’

তিনি বলেন, যারা সমালোচনা করছেন তারা আওয়ামী লীগের নেতা না। এক সময় আওয়ামী লীগে তাদের গ্রহণ যোগ্যতা ছিল। এখন তাদের অস্তিত্ব নেই। আর যে সকল নেতারা এখন আমার বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাদের সবাই আমার সাথে তিন থেকে চার বার সেখানে গিয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন, এই মাদ্রাসা থেকে অতীতে অনেক জঙ্গি কর্মকাণ্ড পরিচালিত হওয়ার ইতিহাস আছে। কিন্তু বিএনপি- জামায়াতের তাণ্ডবের সময় এই মাদ্রাসার কোনো ভূমিকা বিন্দুমাত্র ছিল না। কারণ আমি এই মাদ্রাসায় গিয়ে পরিবর্তন এনেছি। মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতির মূলধারায় আমি তাদেরকে পরিবর্তন করছি। আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে যাবো না, যেতে পারি না।

একজন জামায়াত নেতা বঙ্গবন্ধুর নাম নিলে, আওয়ামী লীগের স্লোগান দিলেই কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চলে আসেন? জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তার সাফাই গাইছি না। আমি চেষ্টা করছি তার মুখ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলাতে। যাতে তাদের একটা শৃঙ্খলার মধ্যে রাখা যায়।

Recent Posts

Leave a Comment