হুমায়ূন এখনও তার সন্তানদের দেখতে পাচ্ছে

 In সফল মানুষ

(কিংবদন্তি লেখক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন ১৩ নভেম্বর, রোববার। কোটি বাঙালির মন জয় করা এই লেখকের জন্মদিন উপলক্ষে পরিবর্তন ডটকমের সঙ্গে কথা বলেছেন তার সহধর্মিণী মেহের আফরোজ শাওন। জীবনের শেষ সময়ে শাওন’কে নিজের জীবনের অনেক চাওয়া পাওয়া বা না পাওয়ার কথা বলে গেছেন কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ। শাওন তার বেশকিছু জানিয়েছেন পরিবর্তনের পাঠকদের জন্য। সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের সন্তানদের কথা। শাওনের নিজের জীবন সংগ্রাম, নিজ এবং সন্তানদের ভবিষ্যত ভাবনার কথাও। আজ পড়ুন প্রথম পর্ব। সাক্ষাতকার নিয়েছেন আতিক রহমান পূর্ণিয়া এবং ছবি ও ভিডিওগ্রাফিতে ছিলেন ওসমান গণি।)

সব মিলিয়ে কেমন আছেন আপনি?
একটু ব্যস্ততার কারণে গত কয়েকদিন ধরে শারিরীকভাবে দুর্বল বোধ করছি। খুব ব্যস্ততা যাচ্ছে।

এখন ব্যস্ততাটা কি নিয়ে?
ব্যস্ততা, অনেক ধরনের। যেমন আমার বাবার অফিসটা। বাবার অফিসে বসি।গত প্রায় ১৫/২০ দিন ধরে আমার বাবা দেশে ছিলেন না। গতকালই ফিরেছেন। যেহেতু তিনি ছিলেন না, ওনার অবর্তমানে পুরো অফিসের দায়িত্বটা আমার উপর রাখা ছিল।সেইটার ব্যস্ততাই গত কয়েকদিন ধরে একটু বেশি ছিল। পাশাপাশি আমার নিজেরও একটা অফিস আছে আর্কিটেকচারাল।আমি স্থপতি। সেটারও কিছু ব্যস্ততা আছে।

আর যেহেতু এই বিশেষ বিশেষ কিছু দিনে আমাদের খোঁজ আপনাদের একটু বেশি পড়ে (সামান্য হাসির ছলে), সে বিশেষ দিন সামনে। হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। তো সেটারও কিছু ব্যস্ততা আছে। সেটার ব্যস্ততা বলতে আসলে, একটাতো হচ্ছে আমার কাজের ব্যস্ততা। আর একটা হচ্ছে, এসময় যেটা হয়-সাংবাদিকদের একটু ফোন বেড়ে যায়। ফোন বেশি ধরতে হয়।কিছু ইন্টারভিউতে যেতে হয়। কিছু টেলিভিশন শো করতে হয়।অনেকগুলো বিষয় নিয়ে ব্যস্ততা। আর সাংসারিক ব্যস্ততাতো আছেই। বাচ্চাদের ব্যাপারে।

আপনার পরিচয় তাহলে আমি বলতে পারি আপনি স্থপতি, অভিনেত্রী, পরিচালক…
আমি এখন আর অভিনেত্রী না। সুতরাং অভিনেত্রী পরিচয় দেওয়াটাও উচিত না। আর আমার পরিচয় দেওয়ারই আসলে…মেহের আফরোজ শাওনটাই এনাফ। আমি এক সময় অভিনয় করেছি। এক সময় নৃত্যশিল্পী ছিলাম।এখন নির্মাণ করি। আমি যদি বলি যে আমার পরিচয় এখন একজন স্থপতি এবং নির্মাতা।

স্থপতি এবং নির্মাতা। আমরা আম জনতা জানি যে আমাদের কিংবদন্তি হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী…
সেটাতো বটেই। সেটাতো সবচেয়ে বড় পরিচয়।

স্যারের প্রসঙ্গে যাই। আপনার সঙ্গে কী লিখার বাইরে স্যার তার ছোট বেলাকার কোনো গল্প করেছেন?
অবশ্যই করেছেন। লিখার বাইরের গল্প…আচ্ছা। যেমন তার বাবারও হাওরের দিকে একটা টান ছিল। আমার শ্বশুরের কথা বলছি। এবং গান বাজনা, সাহিত্য্, সাহিত্য সভা, বিভিন্ন ধরনের বাউল শিল্পীদের কাছে নিয়ে যাওয়া। একটা গল্প ‍শুনেছি। জালাল খাঁ নামে একজন বাউল শিল্পী ছিল। যার একটি গান- তুই যদি আমার হইতি রে, আমি হইতাম তোর। হুমায়ূন আহমেদের অনেক ছোট বেলায় তার বাবা তাকে নিয়ে গেলেন। যে এক জায়গায় নিয়ে যাব। বাবা-মা’রা প্রায়ই বলে না, যে তোকে এক জায়গায় নিয়ে যা্, সে রকম এক জায়গায় নিয়ে গেলেন। বহুদূর…। কিছু দূর রিক্সায়, কিছু দূর গরুর গাড়িতে, কিছু হাঁটিয়ে আবার কখনও না পেরে কিছু দূর হুমায়ূন আহমেদ কে কাঁধে তুলে নিয়ে গেলেন।নিয়ে গেলেন ভাঙাচোরা একটা গ্রামের বাড়িতে। হুমায়ুন আহমেদকে তার বাবা পরিচয় করিয়ে দিলেন, এই যে আমার বড় ছেলে। সেই যার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, সেই হুমায়ূন আহমেদ দেখলেন যে খুব আনইম্প্রেসিভ চেহারা। পান খাওয়া দাঁত। মানে, তার সঙ্গে দেখা করানোর কি আছে হুমায়ুন আহমেদ তা বুঝতে পারছিলেন না। তারপর ঐ লোক হুমায়ূন আহমেদকে কোলে বসালেন এবং পিঠে হাত দিলেন, মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন, ও এটা তোর বড় বেটা নাকি! মানে একটু্ আদর করা আর কি। পান খাওয়া এবং বিড়ির গন্ধ হুমায়ূন আহমেদের বেশ কষ্ট হচ্ছিল। তারপর ওখান থেকে যখন ফিরে আসছিলেন তখন তার বাবাকে জিজ্ঞেস করছিলেন, কে এই লোক। হুমায়ূন আহমেদের বাবা বললেন যে, উনি অনেক বড় একজন লিল্পী ওস্তাদ জালাল খাঁ। হুমায়ূন আহমেদ তখনও বোঝেননি। পরবর্তীতে যখন নিজের পরিণত বয়সে গিয়ে গানের প্রতি তার (হুমায়ূন আহমেদের) ভালবাসা উপলব্ধি করলেন এবং তখন তিনি বুঝলেন কত বড় একজন মরমী শিল্পীর কাছে তিনি গিয়েছিলেন। এবং তিনি গল্পটা এভাবে বলতেন যে, আহ! তখন যদি আমি বুঝতাম যে এই সে জালাল খাঁ! আমি যাকে এতো তুচ্ছভাবে…কেন সে গায়ে হাত দিচ্ছে, বিড়ির গন্ধ…। এরকম কিছু মেমোরিজ শেয়ার করেছেন।

শিল্পী প্রসঙ্গ যেহেতু উঠেছে, তাহলে জানতে চাই, উকিল মুন্সি, আজকের প্রজন্ম যে উকিল মুন্সিকে চেনে তার পূর্ণশ্রষ্টা হুমায়ূন আহমেদ। উকিল মুন্সিকে নতুন করে পরিচয় করিয়েছেন তিনি। হুমায়ূন আহমেদ উকিল মুন্সির গান কিভাবে খোঁজ পেয়েছিলেন?
এটা অনেকেই জানেন।যাদের প্রকাশ পাওয়ার তারা প্রকাশ পাবেনই।

স্যার উপলক্ষটা ছিলেন কেবল?
হ্যাঁ, উপলক্ষ। হুমায়ূন আহমেদের ভাষায় যাকে বলে উছিলা লাগে। উপলক্ষটাকেই হুমায়ূন আহমেদ বলতেন উছিলা।এখন, হুমায়ূন আহমেদ নিজের সম্পর্কে বলতেন যে, আই অ্যাম সো লাকী যে আমি সে উছিলাটা হতে পেরেছি। হুমায়ূন আহমেদ সব সময় এধরনের গানগুলো সংগ্রহ করতেন এবং শুনতে পছন্দ করতেন। তো, সবচেয়ে বেশি, প্রথম দিকে যদি বলি, তিনি শুনতেন হাছন রাজার গান।

হাছন রাজার জন্মোৎসবে তিনি যখন যেতেন তখন তিনি অনেকের গান যেমন শুনতেন সেরকম একটা সময় উনার যে ছাত্র সেলিম চৌধূরী। হুমায়ূন আহমেদ যখন শহীদুল্লাহ হলের হাউজ টিউটর ছিলেন সেলিম চৌধূরী তখন শহিদুল্লাহ হলে থাকতেন। সে হিসেবে ছাত্র পরিচয়।

সেলিম চৌধূরীর গান যখন শুনেন সুনামগঞ্জে হাছন রাজার জন্মোৎসবে। ওখান থেকে সেলিম ভাইকে পিক করেন, …যে তোমার গানের গলা খুব সুন্দর। তুমি ঢাকায় গিয়ে যোগাযোগ করো আমার সাথে। তারপর ঢাকায় আসার পর আবার যোগাযোগ হয় এবং বাড়িতে ডাকেন উনি গান শোনার জন্য। তখন সেলিম চৌধুরী অনেক গান শোনান। সেখানে হাছন রাজার গান শোনান, উকিল মুন্সির গান শোনান, রাধা রমনের গান শোনান। উকিল মুন্সির গান যদি বলি আবার নতুন করে হুমায়ূন আহমেদের কাছে প্রকাশ পায় সেলিম চৌধূরীর গানের পর। পাশাপাশি বারী সিদ্দিকীকেও এরকম একবার বাড়িতে ডেকেছিলেন গান শোনার জন্য।

এরকম গানের আসরতো হুমায়ূন আহমেদ আগেও করতেন, পরেও করতেন, সব সময়েই করতেন। সেরকম গানের আসরে বারী সিদ্দিকীর কাছেও কিছু গান শোনেন। তখন তিনি পিক করেন যে এতো সুন্দর সুন্দর কিছু বিচ্ছেদী গান আছে উকিল মুন্সির। যেগুলোকে আসলে নেত্রকোণার ভাষায় বলা হয় কাঁটা বিচ্ছেদ।বিচ্ছেদী গানগুলো আসলে হুমায়ূন আহমেদকে আকর্ষণ করে।

বাচ্চারা কেমন আছে? তারা কী বলে? ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই আমরা তাদেরও ইন্টারভিউ করব।
আমার সন্তানরা…তারা যদি কখনও ইন্টারভিউ দেওয়ার মতো হয় তখন অবশ্যই দিবে। যদি তারা নিজ যোগ্যতায় কখনও তেমন কিছু হয়।

এখন আপনার মুখ থেকে শুনতে চাই, স্যারকে সন্তানদের ফিল করার দিক থেকে…
দেখুন যেকোনো সন্তানই বাবাকে অবশ্যই ফিল করে। আমার বাচ্চারা কোনো সুপার কিড না, আলাদা কিছু না।আমি মনে করি যে যেকোনো পরিবারের সন্তানদের মতোই আমার বাচ্চারা তাদের বাবাকে অনেক ফিল করে। সব বাচ্চারাই।

 

কিছু কী বলে?
বাচ্চারা কী বলে, এই অংশটুকুন আমার জন্য খুব ইমোশনাল পার্ট। যেকোনো মায়ের জন্যই। বাচ্চাদের বাবার অনুপস্থিতিতে বাচ্চাদের কথাটা আসলেই খুব ইমোশনাল পার্ট। আমার কাছে মনে হয়, সব বাচ্চারাইতো, যেসব বাচ্চাদের বাবা নেই। আমার বাচ্চারাও বলে। কিন্তু আমি আমার বাচ্চাদের একটু চেষ্টা করেছি, হয়তবা এটা ভুল, হয়তবা ঠিক। আমি চেষ্টা করেছি- বাবা নেই, এই বিষয়টা ওদের মাথায় না থাক।

ওরা এখনও ভাবে ওদের বাবা আছে। ওরা দেখতে পারছে না। বাবা আমাদের আশপাশেই আছে।

যেমন গাড়িতে করে আমরা কোথাও যাচ্ছি। যেমন কক্সবাজারে যাচ্ছি আরকি। আমার ছোট পুত্র। যার বয়স ছয় বছর। তার স্মৃতিতে তার বাবার অনেক কিছু নেই। কারণ, তার বাবার মৃত্যুর সময় তার বয়স দেড় বছর ছিল।

যেহেতু আমার বাসায় যারা থাকে। বাসায় যারা থাকে বলতে আমার বাচ্চাদের যে মেয়েটি দেখাশোনা করে, সে কিন্তু অনেক আগের। নয় বছর থেকেই আছে। তারও অনেক স্মৃতি আছে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে, সে দেখেছে। সে কিন্তু গল্প করে, তোমার বাবা এই করত, তোমার বাবা ঐ করত। বা আমাদের যারা সহকারী পরিচালক তারাও গল্প করে। তো, ওরা না, অনেক গল্পে যেটা হয়, ও যে নিজের চোখে দেখেনি-এটা ওর মনে হয় না। ওর মনে হয়, সব ওর মনে আছে। কারণ, বাসার আবহ এমন যে সারাক্ষণ বাবাকে নিয়ে গল্প হচ্ছে।

যাচ্ছি গাড়িতে করে কোথাও। নিনিতের কথা বলছি। হয়ত বলছে, মা বলতো, আমার এপাশে কেন জায়গা খালি? কৌতুক করে বলছে। আমিও কৌতুক করে বলছি। হ্যাঁ বলো কেন খালি? বলল…এখানেতো বাবা বসে আছে।

এটা হচ্ছে তাদের অনুভূতি। আমরা যেখানেই যাই, যেখানেই থাকি- বাবা আমাদের মাঝেই আছে, আমাদের পাশে বসে আছে। বাবা আমাদের দেখতে পাচ্ছে। বাবা আমাদের স্নেহ দিচ্ছে। বাবা আমাদেরকে তার ছায়ার মধ্যেই রেখেছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এরকম একটা মানসিকতায় আমি আমার বাচ্চাদের বড় করছি।

সন্তান নিয়ে সব বাবা মায়ের স্বপ্ন থাকে। নিশাদ নিনিতের স্বপ্ন আপনার কাছে…
না। না। বাবার স্বপ্ন বাবার কাছে ছিল।সে স্বপ্নগুলো আমি জানি।

কী ছিল স্যারের স্বপ্ন তার সন্তানদের নিয়ে?
ভাল মানুষ হওয়ার স্বপ্ন। হুমায়ূন আহমেদকে আমি কখনই তার অন্য সন্তান বা কোনো সন্তানকে নিয়েই দেখিনি স্বপ্ন দেখতে যে লেখক হবে বা সাইনটিস্ট হবে বা ডাক্তার হবে। এরকম কখনও বলতেই শুনিনি।

আমি সব সময়ই শুনেছি হুমায়ুন আহমেদকে বলতে যে তার বাচ্চারা মানুষ হিসেবে খুব ভাল মানুষ হবে। এ স্বপ্নটা হুমায়ুন আহমেদের…স্বপ্ন হিসেবে না। বলতেন, ওরা মানুষ হিসেবে ভাল মানুষ হোক এটাই আমার চাওয়া।

আমারও তাই চাওয়া। বৈষয়িক জায়গাটায় যদি বলি, বৈষয়িক বলতে সাবজেক্ট ওয়াইজ যদি বলি যে ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে, গায়ক হবে বা পেইন্টার হবে তা আমি সম্পূর্ণ ওদের উপর ছেড়ে দিচ্ছি। ওরা যেটা ফিল করবে সেটাই হবে। আমার সে সাপোর্টটা থাকবে।

একজন মেয়েকে একা থাকলে তখন তাকে নানান রকম যুদ্ধ করতে হয়, জীবন চলার দিক থেকে। সঙ্গীছাড়া থাকতে বা নিঃসঙ্গতা…
সমাজের কথা যদি বলেন, একটা মেয়ে নানান কারণেই একা থাকতে পারে। সেটি তার, অবিবাহিত মেয়েরাও অনেক সময় একা থাকে। অনেক সময় ডিভোর্সি মেয়েরা একা থাকে। অনেক সময় স্বামীর অবর্তমানে, মানে, আমি যেটা বলতে চাচ্ছি যে আমার মতো যারা উইডো (বিধবা) তারা একা থাকে।

আমি আসলে সমাজ কি মনে করে এই জিনিসটা কখনই চিন্তা করি না।এই অর্থে…

না, সেকথা বলিনি। কোনো স্ট্রাগলের জায়গা থেকে? কোনো স্ট্রাগল…
হ্যাঁ। স্ট্রাগলতো আছেই। অবশ্যই।স্ট্রাগলটাকে যদি আপনি গ্রহণ করে নিতে পারেন সানন্দে তাহলে স্ট্রাগলটা অতো কঠিন মনে হয় না।আমি মনে করে নিয়েছি, এটুকু স্ট্রাগল আমাকে যে আলাদা করে করতে হচ্ছে তা নয় কিন্তু। আমি নিজেকে আরও দশটি সাধারণ মেয়ে যারা আমার মতো একা বাস করছেন তাদের সবাইকেই স্ট্রাগল করতে হয়, আমাকেও ততখানিই করতে হয়। বরং আমি বলব আমি অনেক প্রিভিলেইজড।আমি অনেক ভাগ্যবতী যে আমাকে সাপোর্ট করার মতো আমার বাবা মা অনেক শক্তভাবে আছেন। আমাকে সাপোর্ট করার মতো আমার কিছু শুভাকাঙ্খি, যারা আমাকে পরিপূর্ণভাবে বুঝতে পারেন যে আমি আসলে কেমন মানুষ, তারা আমাকে সেই সাপোর্টটা দিচ্ছেন। তো সেই ক্ষেত্রে অন্য সাধারণ সংসারের একা নারীদের চেয়ে আমি অনেক প্রিভিলেইজড।

আবার পাশাপাশি যদি বলি তাদের থেকে কিছু আবার, কিছু বেশি স্ট্রাগল আমাকে করতে হয়। যেমন অনেককে আবার অনেক সামাজিকতা না করলেও হয়। আমাকে সে সামাজিকতাটুকু করতে হয়।

যেহেতু হুমায়ুন আহমেদের পরিবার, পরিবারের সঙ্গে আমি জড়িত। সে জায়গা থেকে কিছু সামাজিকতা আমাকে করতে হয় যেটা আমি যে কেবল আমার বাচ্চাদেরকে আর আমার অফিস নিয়েই থাকলেই চলে তা না। এর বাইরেও কিছু সামাজিকতা আমাকে রক্ষা করত হয়।…(হাসতে হাসতে)-এই যে ইন্টারভিউ টাইপের কিছু সামাজিকতা।

এটা একটু মাঝেমধ্যে মনে হয়, একটু কম থাকলেই বোধ হয় ভাল হতো। একটা স্বাভাবিক জীবন থাকলে বেটার হতো।

Recent Posts

Leave a Comment