ছেলেসহ রাগীব আলীর বিরুদ্ধে স্মারক জালিয়াতি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

 In দেশের ভেতর

রাগীব আলীসিলেটের দেবোত্তর সম্পত্তির তারাপুর চা-বাগান বন্দোবস্ত নিতে রাগীব আলী ও ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সিলেটের মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। বিচারক আগামী ৩ জানুয়ারি এ মামলার যুক্তিতর্কের তারিখ ধার্য করেছেন।
একই আদালতে সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাগীব আলী, ছেলেসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করার তারিখ ধার্য হয়েছে। ৩ জানুয়ারি এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করতে সাক্ষীদের সমন পাঠানো হবে।
মহানগর আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াতি মামলার যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায় ঘোষণার দিনক্ষণ ঘোষণা করবেন।
মহানগর আদালতের রেজিস্ট্রারের দপ্তর সূত্র জানায়, জালিয়াতি মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষী। এর মধ্যে গতকাল সর্বশেষ পর্যায়ে সিলেটের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মো. মাসুম বিল্লাহ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক আবু জাহের সরকার সাক্ষ্য দেন। এ দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত মামলার সাক্ষ্য শেষ হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা দেন। এর আগে ৪ ডিসেম্বর রাগীব আলীর ছেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার আটজন সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণ (রিভিউ) হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের শেষ দিন গতকাল আদালতে দুই আসামির মধ্যে কেবল আবদুল হাই উপস্থিত ছিলেন। রাগীব আলী অসুস্থ থাকায় তাঁকে হাজির করা হয়নি।
এদিকে একই আদালতে চলা রাগীব আলীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অপর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করতে বিচারক সাক্ষীদের সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেবোত্তর সম্পত্তির তারাপুর চা-বাগান ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে দখল নেন রাগীব আলী। বাগানের একাংশে রাগীব আলী ও তাঁর স্ত্রীর নামে মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং কলেজ স্থাপন করা হয়। দেবোত্তর সম্পত্তির চা-বাগান বন্দোবস্ত নেওয়া ও চা-ভূমিতে বিধিবহির্ভূত স্থাপনা করার অভিযোগে ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি ও সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটি মামলা করলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিষ্পত্তি করে পুলিশ।

Recent Posts

Leave a Comment