আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। এই বেগ আরও বৃদ্ধি পেয়ে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। নাদা’র কারণে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে উপকূলীয় এলাকায় থাকা মাছধরা নৌকা ও ট্রলারকে সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, সাগরে থাকা সবধরনের নৌযানকে যত দ্রুত সম্ভব উপকূলে ফিরে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়নস্বামী। স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে আশ্রয়শিবিরও খোলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় নাদা’র কারণে কেরালা ও আশপাশের এলাকায় মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানলে এসব অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘নাদা’ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে উত্তাল সাগরে দুর্ঘটনা এড়াতে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ওমানের দেয়া এই ঘূর্ণিঝড়টির নামের অর্থ রুদ্রমুর্তি নারী। ভয়ঙ্কর কিংবা হিংস্রতার অর্থে এই শব্দ দেশটিকে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।