রায়হান হত্যা মামলার ৭ আসামীর কেউ আটক নেই

 In প্রধান খবর

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের দেবপুর এলাকার কলেজ ছাত্র রায়হান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৭ আসামীর কেউ এখনো আটক হয়নি। ৭ মাস পার হওয়ার পরও কোনো আসামী আটক না হওয়ায় রায়হানের পরিবার বিচার পাওয়ার আশা অনেকটা ছেড়ে দিয়েছে। তার বাবা-মার কান্না যেনো এখনো থামছে না। স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী দলের হামলায় গুরুতর আহত রায়হান চলতি বছরের ২৭ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। ইতিমধ্যে রায়হান হত্যা মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

পলাতক ৭ আসামী হলো : দেবপুর এলাকার আঃ রহমান খানের ছেলে বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় ও কারিগরি কলেজের বিদ্যালয় শাখার শিক্ষার্থী আল আমিন খান, একই এলাকার হারুন খাঁর ছেলে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল-আমিন, বাচ্চু মিজির ছেলে ও বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসমাঈল মিজি, সামাদ বেপারীর ছেলে সিএনজি স্কুটার চালক সোহাগ বেপারী, হাজীগঞ্জ উপজেলার চতন্তর এলাকার আঃ রহমান বেপারীর ছেলে সুমন বেপারী, দেবপুর এলাকার চা দোকানী মৃত নূর খাঁর ছেলে আঃ রহমান (আসামী আল আমিন খাঁর বাবা) ও একই এলাকার মৃত আঃ সাত্তারের ছেলে জহির মিজি। এরা সকলেই রায়হান হত্যার পর এলাকা থেকে স্বপরিবারে গা ঢাকা দেয়। এখনো তারা পলাতক রয়েছে।
গত ১৭ মে সন্ধ্যার পর নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে বাড়ি থেকে সিকি কিলোমিটার দূরে দেবপুর এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয় চাঁদপুর সরকারি কলেজের ছাত্র রায়হান। সন্ত্রাসীরা রায়হানের মাথা থেতলে দেয়। স্থানীয়রা সাথে সাথে রায়হানকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরেই কর্মরত চিকিৎসকগণ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসকরা ক্লিনিক্যালি ডেথ ঘোষণা করেন রায়হানকে। তারপরও তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পুরো ১০দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ২৭ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রায়হান মারা যায়। রায়হানদের পরিবারের সাথে সম্পত্তিগত বিরোধ, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এলাকার একটি মহলের বিরোধ ছিলো। আর সে বিরোধ থেকে এ হত্যাকা- ঘটে বলে রায়হানের বাবা রফিকুল ইসলাম দাবি করেন।

রায়হানের বাবা রফিকুল ইসলাম এক প্রতিক্রিয়ায়  জানান, প্রায় ৭ মাস হয়ে গেলো এখনো কোনো আসামী আটক হয়নি। তারা পালিয়ে থেকে আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। তবে গত মঙ্গলবার সিআইডির অফিসার এসেছেন। উনাকে সব বলেছি।
রায়হান হত্যা মামলাটি তদন্ত করছেন সিআইডির পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম। মুঠোফোনে এই কর্মকর্তা  জানান, মামলাটি তদন্তাধীন। বাদীর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে তারা কাজ করছেন।

Recent Posts

Leave a Comment