চিকিৎসকদের দ্বন্দ্বে দুর্ভোগে রোগীরা

 In প্রধান খবর

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘটনায় রোগীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
এদিকে গতকাল বুধবার দুপুরে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে বিবদমান দুটি পক্ষের মধ্যে আবারও নতুন করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের বিবদমান দুটি পক্ষের মধ্যে গত সোমবার রাতে মিলন হোস্টেলে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে চলছে একাংশের কর্মবিরতি। অপর অংশও গতকাল দুপুর থেকে কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় রোগীদের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে কর্মবিরতি আহ্বানকারী ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের একাংশের নেতারা হাসপাতালে পরিচালকের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে যান। আলোচনা চলাকালে পরিষদের অপর অংশ সেখানে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অপর অংশও অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয়।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ উল বারীর ভাষ্য, ‘ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের কমিটির মেয়াদ আগামী মে মাস পর্যন্ত রয়েছে। মেয়াদ শেষ না হতেই একটি পক্ষ কমিটি গঠন করে বলে শুনেছি। ওই পক্ষটি সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় ইন্টার্ন চিকিৎসক মিলন হোস্টেলে গিয়ে বর্তমান কমিটির সভাপতি মাহফুজুল হক তালুকদারের কক্ষে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়। তিনি আহত হয়ে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের কর্মবিরতির ফলে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়েছে। গতকাল বেলা তিনটার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, অধিকাংশ ওয়ার্ডে চিকিৎসক নেই।
সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে কুড়িগ্রামের এক রোগীর স্বজন খোরশেদ আলম বলেন, বেলা দুইটা পর্যন্ত বড় ডাক্তার ছিল। এরপর কোনো ডাক্তার নেই। তিনটার দিকে এ ওয়ার্ডে নার্সদের চিকিৎসাসেবা দিতে দেখা যায়। মেডিসিন ওয়ার্ডে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার রোগীর স্বজন অলিউর রহমান বলেন, ‘আইজে হাসপাতালোত রোগী ভর্তি করাইছি। কিন্তু অ্যাটে যে কোনো ডাক্তার নাই জানলে অন্যটে গেইনো হয়।’ এমন চিত্র প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই। অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসক ফারহান রহমান বলেন, ‘কমিটির মেয়াদ এক বছর হলেও তাদের কোনো কার্যক্রম নেই। এ কারণে গত সোমবার আমরা একটি কমিটি গঠন করে রাতে মিলন হোস্টেলে গেলে মাহফুজুল (সভাপতি) তাঁর দলবল নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বেধে যায়।’
হাসপাতালের পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক বলেন, অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও রেজিস্ট্রারের সমন্বয়ে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

Recent Posts

Leave a Comment