কানাডায় মসজিদে গুলি, নিহত ৫

 In দেশের বাইরে
কানাডার কুইবেক শহরের একটি মসজিদে বন্দুকধারীরা হামলা চালালে অন্তত ৫ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্দেভাজন দুই হামলাকারীকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ। খবর বিবিসি, রয়টার্সের।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞার জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার দেশটির টেক্সাসে একটি মসজিদ আগুনে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

হামলার পর পুলিশ কুইবেকের মসজিদটির বাইরে অবস্থান নিয়েছে। আর পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে- এমন একটি ভিডিও দ্য কুইবেক ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের ফেসবুক পেজে দেয়া হয়েছে। আর মন্তব্য লেখা রয়েছে, সেখানে অনেকেই মারা গেছেন।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, তিন বন্দুকধারী ভারী অস্ত্র নিয়ে কুইবেক সিটি ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে এসে অতর্কিত গুলি চালানো শুরু করে। এ সময় মসজিদটিতে ৪০ জনের মতো লোক ছিল।

মসজিদটির সভাপতি মোহাম্মদ ইয়ানগুই প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এখানে কেন এটা ঘটবে? এটা বর্বরতা।’

তিনি বলেন, ‘হামলার পর এখনও আমি মসজিদের ভেতরে যেতে পারিনি। তবে সেখানে হামলার বিভৎসতা সম্পর্কে আতংকিতরা আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন।’

আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তবে কতজন আহত হয়েছেন তা মোহাম্মদ ইয়ানগুই কিংবা পুলিশ কেউই জানাতে পারেনি।

এদিকে ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় এক টুইটবার্তায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কুইবেক সিটির মসজিদে ঘৃণ্য হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সব সময় ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের পক্ষে আমার কণ্ঠ সোচ্চার থাকবে।

কুইবেকে ইসলাম বিদ্বেষ বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরটিতে সম্প্রতি ইসলামী রীতির পোশাক নিকাব নিষিদ্ধ করা হলে রাজনৈতিক বিতর্ক দেখা দেয়।

২০১৫ সালে প্যারিস হামলার পর কুইবেকের পার্শ্ববর্তী অন্টারিও প্রদেশে একটি মসজিদে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।

আর গত বছরের জুনে কুইবেকের এই মসজিদের দরজার সামনেই একটি উপহারের প্যাকেটে শুকরের মাথা রেখে যাওয়া হয়। সেখানে একটি চিরকুট লেখা ছিল, সুস্বাদু খাবার।

Recent Posts

Leave a Comment