‘বিশ্বাস ছিল হ্যাটট্রিক হবে’

 In খেলাধুলা

বয়স তখন সবে ১৫। কেরানিগঞ্জে খ্যাপ খেলতে গিয়ে প্রথম দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে সবাইকে চমকে দেন হালকা পাতলা গড়নের এক বোলার। সেদিনের সেই বোলারটির নাম তাসকিন আহমেদ। এরপর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও দুবার পরপর দুই বলে দুই উইকেট নেন তাসিকন। তবে তিন উইকেট আসছিল না কোনোভাবেই। অবশেষে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন তাসকিন।

বাংলাদেশি পঞ্চম এবং বিশ্বের ৪১তম বোলার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। শেষ ওভারে নেওয়া এই তিনটি উইকেটকে তাঁর ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি বলে মনে করছেন তাসকিন। ডানহাতি এই পেসারের মতে, এই হ্যাটট্রিকটি তাঁকে ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ারও পথ দেখাবে।

গতকাল মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইনিংসের শেষ ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। তৃতীয় বলে আসেলা গুনারত্নে মিড অফে ক্যাচ দিয়েছিলেন সৌম্য সরকারের হাতে। চতুর্থ বলটি ছিল ফুলটস। উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন সুরঙ্গা লাকমল। কিন্তু ব্যাট-বলের সংযোগ ঠিকঠাক না হওয়ায় মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে। আর পঞ্চম বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক করার জন্য কারো সহায়তাও নিতে হয়নি তাসকিনকে। দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে ভেঙে দিয়েছেন নুয়ান প্রদীপের উইকেট।

আজ বুধবার কলম্বোর উদ্দেশে ডাম্বুলা ছাড়ার আগে হ্যাটিট্রিক নিয়ে প্রশ্ন করতেই বেশ উচ্ছ্বাস দেখালেন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘এর আগেও হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। এবার হ্যাটট্রিক করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।’ আগেও দুই বলে দুই উইকেট পেয়েছেন তবে হ্যাটট্রিকটা হচ্ছিল না। নিজের ওপর বিশ্বাস হারাননি তাসকিন। জানতেন একদিন না একদিন হবেই। তাসকিন বলেন, ‘শেষ ওভারের আগে ফিল্ডিংয়ে দাঁড়িয়ে একটু কল্পনা করছিলাম যে এ রকম হতে পারে। আল্লাহর রহমতে হয়েও গেল।’

ওয়ানডেতে তাসকিনের আগে হ্যাটট্রিক করেছেন বাংলাদেশের আরো চারজন বোলার। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে প্রথম হ্যাটট্রিকটি করেছিলেন শাহাদাত হোসেন। ২০১০ সালে আব্দুর রাজ্জাকও হ্যাটট্রিক করেছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, মিরপুরে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রুবেল হোসেন। মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। আর ২০১৪ সালে তাইজুল ইসলাম হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছিলেন মিরপুরে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে।

হ্যাটট্রিক পূরণের ম্যাচে পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের ভূমিকার কথাও স্বীকার করেন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বোলিংয়ের উন্নতিতে কোচ ওয়ালশ অনেক সাহায্য করেছেন। তার পরিকল্পনা মতো বোলিং করতে পেরেছি বলেই এই সাফল্য পেয়েছি।

Recent Posts

Leave a Comment