অসামাজিক কাজের অভিযোগে এমন নির্যাতন!

 In শীর্ষ খবর

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় অসামাজিক কাজে জড়িত সন্দেহে এক যুবককে ধরে বর্বর নির্যাতন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আজ সোমবার শরণখোলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে শরণখোলার খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খানসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ মামলার পর পুলিশ শরণখোলার মধ্য বানিয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম (২৫) ও পশ্চিম বানিয়াখালী গ্রামের নূর হাসান মুন্সী (২২) নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার এক যুবকের সঙ্গে শরণখোলা উপজেলার আরেক তরুণীর মুঠোফোনে পরিচয় ঘটে। এর সূত্র ধরে ওই তরুণীর আমন্ত্রণে গত ৯ এপ্রিল ওই যুবক তরুণীর বাড়িতে যান। পরে তাঁকে এলাকায় অপরিচিত হিসেবে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খানকে খবর দেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি ওই এলাকায় গেলে তাঁর কাছে স্থানীয়রা ওই যুবকের বিরুদ্ধে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এনে বিচার দাবি করেন।

পরে ইউপি চেয়ারম্যান ওই এলাকার এক ব্যক্তির চায়ের দোকানের সামনে দাঁড় করান। সেখানে প্রকাশ্যে স্থানীয় বাসিন্দা গ্রামপুলিশ (চৌকিদার) ইসমাঈল হোসেনকে দিয়ে যুবকের যৌনাঙ্গে বড় একটি আধলা ইট বেঁধে দেন। এভাবে ওই যুবককে সেখানে এক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। পরে যুবককে ইউপি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে পরিবারের লোকদের হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়।

ইট বেঁধে নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শরণখোলা থানার পুলিশ মামলা করে।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁর ব্যবহৃত দুটি নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল জলিল বলেন, ওই যুবককে সবার সামনে দাঁড় করিয়ে তাঁর যৌনাঙ্গে ইট বেঁধে দেওয়া হয়। এভাবে তাঁকে এক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

Recent Posts

Leave a Comment