বীরের বেশে দেশে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালে ভারতের উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানে চড়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কারণে ভোর থেকেই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল বেশ আঁটসাঁট। তবে তার মাঝেই মাশরাফি-মুশফিকদের বরণ করে নিতে চমৎকার আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফুল-মিষ্টিতে টাইগারদের বরণ করে নেন বিসিবির কর্তারা। শততম টেস্টজয়ী দলকে নিয়ে একটু হুলুস্থূল না হলে কি মানায়!
দলের সঙ্গে ফেরেননি কেবল শেষ টি২০-তে জয়ের নায়ক সাকিব আল হাসান। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল খেলার জন্য শ্রীলংকা থেকেই ভারতের পথে রওনা হয়ে গেছেন তিনি। তবে বাংলাদেশের আরেক আইপিএল তারকা মুস্তাফিজুর রহমান দলের সঙ্গে দেশে ফিরেছেন। সপ্তাহখানেক বিশ্রাম নিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে খেলার জন্য উড়াল দেবেন কাটার মাস্টার। অন্য ক্রিকেটাররা অবশ্য বসে থাকবেন না। ১২ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ। দু-একদিনের মধ্যেই সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন প্রিমিয়ার লীগ নিয়ে।
টেস্ট, ওয়ানডের পর টি২০ সিরিজেও সমতায় শেষ করেছে টাইগাররা। শ্রীলংকার মাটিতে এখন পর্যন্ত এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল সিরিজ। আর সফরের শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের হারিয়ে দেওয়ায় টাইগারদের আনন্দটা যেন কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। জয় দিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে টি২০ থেকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি জয়ের আনন্দ নিয়ে দেশে ফেরা গেছে। তবে বিমানবন্দরে অধিনায়ক মাশরাফি জানিয়েছেন, সফরটি আরও ভালো হতে পারত। বেশ আক্ষেপ নিয়েই তিনি বলেন, ‘এ সিরিজে একটা অপ্রাপ্তি আছে। ওয়ানডে সিরিজটা ২-০-তে জেতা উচিত ছিল।’ এ ছাড়া আর কোনো হতাশা নেই ক্রিকেটারদের। বরং পিছিয়ে পড়ে টেস্ট সিরিজে সমতা ফেরানোটাকে দারুণ কৃতিত্ব হিসেবে দেখছেন মাশরাফি।
টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের মতে, শ্রীলংকার মাটিতে টেস্ট জেতা মানে হলো আমাদের ক্রিকেট নতুন উচ্চতায় উঠা। অবশ্য টি২০ জয়টাকেও খাটো করে দেখার উপায় নেই। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে বাংলাদেশ তেমন একটা অভ্যস্ত নয়। শ্রীলংকা আবার এ ফরম্যাটে ভীষণ পাকা। মাত্র ক’দিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে তারা হারিয়ে দিয়ে এসেছে। এসব সমীকরণ পেছনে ফেলে ঠিকই জয় কেড়ে এনেছে টাইগাররা। এরপরও ঘটনাবহুল এ সিরিজটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে টি২০ থেকে মাশরাফির অবসরের কারণে।