সেন্টমার্টিনের আবাসিক হোটেল মালিকদের তলব

 In জাতীয়

সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ১০৬ আবাসিক হোটেলের মালিককে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেন হোটেল নির্মাণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে পরিবেশ অধিদফতরের চট্রগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রোববার অধিদফতরের চট্রগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মাসুদ করিম লিখিতভাবে এ নির্দেশনা দেন।

হোটেল মালিকদের দেয়া পরিবেশ অধিদফতরের কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় (ইসিএ) হোটেল পরিচালনা করে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ক্ষতি ও ইসিএ আইন এবং বিধি লংঘন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের সংরক্ষিত এলাকায় হোটেল নির্মাণ করে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশের ক্ষতি সাধন এবং দ্বীপের সমুদ্র পাড়ে লাইটিং এর মাধ্যমে কচ্ছপসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর স্বাভাবিক জীবণ যাত্রা ও প্রজননে ব্যাঘাত করে দণ্ডনীয় অপরাধ করছে হোটেল মালিকরা।

এতে বলা হয়, তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড ইসিএ বিধিমালা ও বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া সেন্টমার্টিন দ্বীপে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনাও রয়েছে।

তাই পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া হোটেল নির্মাণ ও পরিচালনা করায় কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা সোমবার পরিবেশ অধিদফতর চট্রগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তার কারণ দর্শানোর জন্য হোটেল মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হলো।

অন্যথায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও পরিবেশ আদালত আইন অনুযায়ী মামলঅ দায়েরসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদফতরের চট্রগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মাসুদ করিম বলেন, যেকোনো ভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপটি রক্ষা করতে হবে। এ জন্য সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, আদালতের সুষ্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা সেন্টমার্টিনে গড়ে উঠেছে হোটেল, মোটেলসহ নানা স্থাপনা। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সেন্টমার্টিন ও এর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যর্থতা দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম অবজ্ঞা ও উদাসীনতার পরিচায়ক।

Recent Posts

Leave a Comment