আমলা-তাহিরে চূর্ণ শ্রীলংকা

 In খেলাধুলা
ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের এক নম্বর দল হিসেবে বড় জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিযান শুরু করলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

শনিবার ওভালে বি-গ্রুপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৯৬ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা।

হাশিম আমলার ২৫তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ছয় উইকেটে ২৯৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

জবাবে ইমরান তাহিরের স্পিন বিষে নীল হয়ে ৪১.৩ ওভারে মাত্র ২০৩ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা।

ইংল্যান্ডের পেস বান্ধব কন্ডিশনেও রীতিমতো জাদু দেখালেন তাহির। ৮.৩ ওভারে মাত্র ২৭ রানে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন এই লেগ-স্পিনার।

এছাড়া ক্রিস মরিস দুটি এবং রাবাদা ও মরকেল একটি করে উইকেট নেন।

শ্রীলংকার শুরুটা অবশ্য দারুণ ছিল। পাওয়ার প্লের প্রথম দশ ওভারে এক উইকেটে ৮৭ তুলে ফেলেছিল তারা।

১৮তম ওভারে তাহির আক্রমণে আসতেই বদলে যায় চিত্রপাট। দুই ওপেনার ডিকভেলা (৪১) ও উপুল থারাঙ্গা (৫৭) ছাড়া শ্রীলংকার পক্ষে বলার মতো রান পেয়েছেন শুধু কুশাল পেরেরা (৪৪*)।

এ ম্যাচের ক্যাচলাইন ছিল এবি ডি ভিলিয়ার্স বনাম লাসিথ মালিঙ্গা দ্বৈরথ। কিন্তু প্রথম ম্যাচে দু’জনই ব্যর্থ।

দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স চার বলে মাত্র চার রান করেই সাজঘরে ফেরেন।

অন্যদিকে শ্রীলংকার বোলিং আক্রমণের নেতা মালিঙ্গা ১০ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।

অধিনায়ক ঝড় তুলতে না পারলেও মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন আমলা। রানআউটে কাটা পড়ার আগে ১১৫ বলে ১০৩ রান করেন প্রোটিয়া ওপেনার।

ক’দিন আগে বিরাট কোহলির কাছ থেকে দ্রুততম সাত হাজার রানের রেকর্ড কেড়ে নিয়েছেন তিনি। শনিবার কোহলির (১৬২ ইনিংসে) দ্রুততম ২৫ ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ডটিও নিজের করে নিলেন আমলা (১৫১ ইনিংসে)।

দলকে বড় স্কোর এনে দিতে বড় অবদান ফাফ ডু প্লেসি ও আমলার ১৪৫ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। ডু প্লেসি করেছেন ৭০ বলে ৭৫ রান।  শেষ ১০ ওভারে ৭৮ ও শেষ পাঁচ ওভারে ৪৪ রান দক্ষিণ আফ্রিকা।

মাঝে তালগোল পাকিয়ে না ফেললে সংগ্রহটা আরও বড় হতে পারত।

শেষদিকে মাত্র ২০ বলে অপরাজিত ৩৮ করেন জেপি ডুমিনি। এছাড়া ক্রিস মরিসের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান।

৫৪ রানে দুই উইকেট নিয়ে শ্রীলংকার সবচেয়ে সফল বোলার নুয়ান প্রদীপ। এছাড়া সুরঙ্গা লাকমাল ও সেকুগে প্রসন্ন একটি করে উইকেট নেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৯৯/৬, ৫০ ওভারে (হাশিম আমলা ১০৩, ডি কক ২৩,  ডু প্লেসি ৭৫, ডি ভিলিয়ার্স ৪, ডেভিড মিলার ১৮, জেপি ডুমিনি ৩৮*, ক্রিস মরিস ২০,ওয়েইন পারনেল ৭*। লাসিথ মালিঙ্গা ০/৫৭, সুরঙ্গা লাকমাল ১/৫১, নুয়ান প্রদীপ ২/৫৪, গুনারতেœ ০/৬৪, সেকুগে প্রসন্ন ১/৭২)।

শ্রীলংকা: ২০৩/১০, ৪১.৩ ওভারে (ডিকভেলা ৪১, উপুল থারাঙ্গা ৫৭, কুশাল মেন্ডিস ১১, দিনেশ চান্দিমাল ১২, কাপুগেদারা ০, কুশাল পেরেরা ৪৪*, গুনারতেœ ৪, প্রসন্ন ১৩, সুরঙ্গালাকমাল ০, মালিঙ্গা ১, নুয়ান প্রদীপ ৫। রাবাদা ১/৪৬, পারনেল ০/৫৪, মরনে মরকেল ১/৩১, মরিস ২/৩২, তাহির ৪/২৭, জেপি ডুমিনি ০/৭)।

ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৯৬ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইমরান তাহির (দক্ষিণ আফ্রিকা)।

Recent Posts

Leave a Comment