ধ্রুব এষ’র ছোটগল্প : শোক দিবস

 In শিল্প-সাহিত্য

 

আলী ফরিদ ঘুম থেকে উঠে একটি শোক সংবাদ শুনল মহল্লার মসজিদের মাইকে।

‘একটি শোক সংবাদ! একটি শোক সংবাদ! চব্বিশের তিন পুরানা পল্টন নিবাসী, চব্বিশের তিন পুরানা পল্টন নিবাসী, আলহাজ্ব সৈয়দ এনায়েত রসুলের আব্বা, আলহাজ্ব সৈয়দ এনায়েত রসুলের আব্বা, আলহাজ্ব সৈয়দ গোলাম রসুল, আলহাজ্ব সৈয়দ গোলাম রসুল, গতকল্য রাত্রি দুই ঘটিকায়, ইন্তেকাল করিয়াছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। মরহুমের নামাজে জানাজা, মরহুমের নামাজে জানাজা, অদ্য বাদ আসর এলাকার বায়তুন নূর মসজিদ প্রাঙ্গণে  অনুষ্ঠিত হইবে। বায়তুন নূর মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হইবে।’

সদ্য জাগ্রত আলী ফরিদ খুবই মন দিয়ে শুনল। বছর তিনেক ধরে সে আছে এই গলিতে। ঊনপঞ্চাশের দুই বিল্ডিঙের তেতলায়। মেস করে থাকে তারা কয়েকজন। বছর তিনেক হিসাব করলে কম দিন না। ‘একটি শোক সংবাদ’ কম শুনতে হয়নি এলাকার মসজিদের মাইকে। কিন্তু এরকম ঘুম থেকে উঠেই, আর কখনো শুনেছে বলে মনে করতে পারল না আলী ফরিদ। আলহাজ্ব সৈয়দ এনায়েত রসুলের জন্য সে খানিক বেদনার্ত হলো। মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করল। যদিও সে অবগত না, চব্বিশের তিন বিল্ডিং কোনটা, আলহাজ্ব সৈয়দ গোলাম রসুল বা আলহাজ্ব সৈয়দ এনায়েত রসুল কে ছিলেন বা কে আছেন।

আলী ফরিদের বয়স এখন একচল্লিশ। সে কম্পিউটার অপারেটর। বিয়ে শাদী করেনি। তবে করবে। টাকা জমাচ্ছে। ব্যাংকে তার অ্যাকাউন্ট আছে। দুই লাখ চৌষট্টি হাজার টাকা জমেছে। সাড়ে তিন-চার লাখ হয়ে গেলেই বিয়ে করে ফেলবে পপিকে। মোছাম্মৎ তাসরিন নাহার পপি। তার ড্রিমগার্ল। স্বপ্ন দেখে জেগে থেকে এবং ঘুমিয়ে। কিছু কিছু স্বপ্ন খুব আজেবাজে হয়। দুই দিন আগে তেমন একটা দেখেছে। দেখেছে পপি মেসের এই ঘরে। কিছু পরেনি। তার কোমরে কাইতন বেঁধে দিচ্ছে সে। বাজে ব্যাপার হলো বজলুর রশীদ ঘটনা দেখছেন। বজলুর রশীদ মঘা শাস্ত্রীয় ঔষধালয়ের রিপ্রেজেনটেটিভ। মাসের বাইশ দিনই মেসে থাকেন না। গত পরশু গেছেন সিলেট অঞ্চলে। বলে গেছেন আটদিন পরে ফিরবেন। আট ফিট বাই বার ফিট রুম। একজনের হয় না, থাকে দুজন। তাও বজলুর রশীদ এত থাকেন না বলে।

আলী ফরিদ কাজ করে দুটো অফিসে। সেগুন বাগিচার একটা প্রকাশনা এবং বাংলাবাজারের একটা প্রকাশনা সংস্থায়। সেগুনবাগিচার অফিসে যায় দশটায়। অফিস দশটা থেকে চারটা। পাঁচটা থেকে থাকে বাংলা বাজারে। নয়টা অব্দি। বইমেলার সময় আরেকটু রাত। দশ বছর ধরে বাংলা সাহিত্যের কত গল্প উপন্যাস কবিতা এবং প্রবন্ধ যে সে কম্পোজ করেছে।

সেগুন বাগিচার প্রকাশনা সংস্থা থেকে রহস্য রোমাঞ্চ সাহিত্য ছাপা হয়। মূলত বিদেশী কাহিনির বাংলা। অনুবাদ না, অ্যাডেপটেশন বলে। বিদেশি কাহিনির চরিত্র বাঙালি হয়ে যায়। পটভূমি কখনো কখনো দেশী হয়ে যায়, কখনো কখনো বিদেশীই থাকে। কম্পোজ করতে মজা। কালকের শিফট থেকে আলী ফরিদকে তারা একটা পিশাচ কাহিনি কম্পোজ করতে দিয়েছে- ‘মমির অভিশাপ’। মিসর না, মাচ্চুপিচুর এক মমি নিয়ে ঘটনা। লেখক প্রথম ‘মামি’ লিখেছিলেন। মামির অভিশাপ। প্রকাশক বলেছেন, ‘মামি চলবে না। মমি করেন।’

‘কিন্তু শব্দটা তো আসলে মামি। এম ইউ এম এম ওয়াই।’

‘সে বুঝলাম। তারা বলে মামি। আমরা বলি মমি।’

‘ভুল বলি।’

‘ভুল। কাজী নজরুল ইসলাম ভুল লিখে গেছেন?’

‘কাজী নজরুল ইসলাম!’

‘আরে সাহেব, মোমের পুতুল মমির দেশের মেয়ে… গান শোনেন নাই। এ ছাড়া আমরা তো মামি বলি। মামার বউকে বলি মামি। পাঠক মনে করবে সেই মামি। মামির অভিশাপ।’

‘আমরা কি পাঠককে শিক্ষিত করব না?’

‘আপনি কি লেখক? না শিক্ষক? মমি শব্দটা দেখেন অভিধানে আছে। বাংলা একাডেমির ব্যবহারিক বাংলা অভিধানে। নয়শ ছাপ্পান্ন পৃষ্ঠায়। দুটো বানান আছে,মমি, মমী। মিসরের মমী ঘিরিয়া নাচিছে রাতের পিশাচ দল। জসিমউদ্দিন। মমির অর্থ দেওয়া আছে, পচন রোধক ওষুধে রক্ষিত প্রাচীন মিসরের রাজাদের শব। প্রাচীন মিসরের। আপনার মমি তো মাচ্চুপিচুর।’

এই একজন মানুষ। প্রকাশক সাহেব। এই মানুষটার ব্রেইনে মনে হয় আট নয়টা কম্পিউটার সেট করা আছে। কম্পোজ করতে করতে কতদিন আরো কত রকম কথা শুনেছে আলী ফরিদ। মুগ্ধ হয়েছে এবং হয় বার বার। এই মানুষটা জানেন না কী?

আধ ঘণ্টা আগেও ছিলেন অফিসে। তরুণ এক লেখককে বলছিলেন, ‘পথের পাঁচালি’-র প্রথম কিশোর সংস্করণ কিন্তু মোটেও ‘আম আঁটির ভেঁপু’ না। সেটা ছিল ‘ছোটদের পথের পাঁচালি’। বিভূতিভূষণ লিখেননি। বিভূতিভূষণ ‘আম আঁটির ভেঁপু’ লেখার পর ‘ছোটদের পথের পাঁচালি’ বাজার থেকে উঠে যায়।’

স্কুল লাইফে বা কলেজ লাইফে বই-টই তেমন একটা পড়ত না আলী ফরিদ। বাধ্যতামূলকভাবে এখন পড়া হয়ে যায়। কম্পোজ করতে গিয়ে। ‘পথের পাঁচালি’ এবং ‘আম আঁটির ভেঁপু’ এভাবেই পড়া হয়ে গেছে। ‘ছোটদের পথের পাঁচালির’ কথা শোনেইনি। সেই বইটা কে লিখেছিলেন? কথার ফেরে প্রকাশক সাহেব বলেননি। কে লিখেছিলেন?

‘মমির অভিশাপ’ বইয়ের লেখকের হাতের লেখা অত্যন্ত সুন্দর। গোটা গোটা অক্ষর। তিরানব্বই নম্বর পৃষ্ঠা কম্পোজ করতে করতে চায়ের তেষ্টা পেল আলী ফরিদের। নাস্তা করে চা খায়নি। নাস্তা করেছে কোন সেই নয়টায়। এখন বাজে এগারটা বেয়াল্লিশ।

‘বিবেক দা, নিচে যাবেন?’

বিবেক জয়ধর। সিনিয়র কম্পোজিটর। একুশ বছর ধরে আছেন এই প্রকাশনা সংস্থায়। শান্ত নিরীহ একজন মানুষ। আলী ফরিদের সঙ্গে উঠলেন। নিচে নেমে তারা মাত্র চায়ের দোকানের বেঞ্চে বসেছে, এলাকার মসজিদের মাইক বেজে ওঠল।

‘একটি শোক সংবাদ। একশ ছাব্বিশ সেগুন বাগিচার বাবুইঘর হাউজিঙের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শাফকাত উদ্দিন মাহমুদ আজ সকাল আটটায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজাবাদ জোহর মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা তার দ্যাশের বাড়ি কেরানীগঞ্জের ছাতিয়ানতলীতে বাদ মাগরিব অনুষ্ঠিত হবে।’

মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করল, এ ছাড়া বিবেক জয়ধরের সঙ্গে গল্পে মশগুল আলী ফরিদ আর কিছু মাথায় নিল না। বিবেক জয়ধরের বয়স চুয়ান্ন। দুই মেয়ে এক ছেলের বাপ। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললেন, ‘আপনার বৌদি তো আবার পোয়াতী।’

‘কী বলেন দাদা! আপনি তো দেখি চ্যাম্পিয়ান ব্যক্তি।’

এই সময় ফোন বাজল আলী ফরিদের। আননোন নাম্বার।

আলী ফরিদ ধরল, ‘হ্যালো?’

‘ফরিদ ভাই?’

‘জি, ভাই। আপনি কে বলছেন?’

‘ফরিদ ভাই, আমি নান্নু। লিপ্পা তো এখনো মাল ডেলিভারি দেয় নাই।’

‘কিসের মাল ভাই? লিপ্পা কে?’

লাইন কেটে দিল।

আজব।

সেগুনবাগিচা থেকে বের হয়ে আলী ফরিদ হাঁটা দিল বাংলাবাজারের দিকে। ষাট টাকার কমে রিকশা যায় না। হেঁটে গেলে কম বেশি পঞ্চাশ মিনিট। রিকশার ঠিক নেই। রাস্তা ফাঁকা থাকলে বিশ-বাইশ মিনিট। না থাকলে এক ঘণ্টা দেড় ঘণ্টা। ফাঁকা থাকে না। বাসে যাওয়া যায়। আলী ফরিদ যায়ও। গরমের দিনে। শীতকালে হাঁটে। হাঁটাও হয়, পয়সাও বাঁচে।

আব্বাসউদ্দিন রোড, জিরো পয়েন্ট, রমনা মার্কেট, গোলাপ শাহ (র.)- এর মাজার। পার হতে হতে আলী ফরিদ আরো ‘একটি শোক সংবাদ’ শুনল।

‘একটি শোক সংবাদ। একটি শোক সংবাদ। গুলিস্তান মার্কেট ফল ব্যবসায়ী সমিতির…।’

আর কথা বোঝা গেল না। রাস্তায় ক্যাওস। যানবাহন, মানুষের হৈ চৈ। তবে একজন মানুষ ইন্তেকাল করেছেন। আলী ফরিদ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করল।

কোর্ট-কাচারির পর থেকে রাস্তা সুনসান। কী হয়েছে? জগন্নাথের ছাত্ররা মারামরি করেছে। শাখারি বাজারের মোড়ে একটা কাভার্ডভ্যান দেখা গেল পুলিশের। থেমে আছে। কয়েকজন পুলিশ। নিস্তেজ, উদ্যোগহীন। স্বল্প সংখ্যক পথচারীর একজন উপযাচক হয়ে আলী ফরিদকে বললেন, ‘লাশ পড়ছে দুইটা।’

আলী ফরিদ বলল, ‘জি।’

বয়স্ক মানুষটা। শক্তপোক্ত আছেন। তাগড়াই একটা ভাব আছে চেহারায়। বললেন, ‘জগন্নাথ কলেজে পড়ছি, এখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়!’

আফসোস?

সদরঘাট দিয়ে ঢুকল আলী ফরিদ। বাংলা বাজারের মান্নান মার্কেটে অফিস। তিনতলায়। দুই তলায় সিঁড়িতে কল দিল কয়সর। আলী ফরিদ ধরল, ‘বল।’

‘তুই কোথায়?’

‘বাংলাবাজার। কেন?’

‘না, এমনি।’

‘মাইকিং কীসের?’

‘মাইকিং? অ। মুসলিম হোস্টেলের উল্টাদিকের বাসার মুস্তফা ভাই মারা গেছেন।’

‘কী? কখন?’

‘মাইকিং শোন।’

আলী ফরিদ শুনল।

‘একটি শুক সংবাদ। একটি শুক সংবাদ। হাসননগর নিবাসী, মরহুম ইসহাক মিয়ার ছেলে গোলাম মুস্তফা, অদ্য দুপুর আড়াই ঘটিকায় ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। মরহুমের নামাজে জানাজা, মরহুমের নামাজে জানাজা, বাদ আসর, বাদ আসর, কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হইবে, কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হইবে।’

মুস্তফা ভাই। আট নয় বছরের সিনিয়র তাদের। শহরের বিখ্যাত মাতাল। মরে গেল পঞ্চাশের আগেই! আলী ফরিদ তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করল।

বিষয়টা কী? আজকের দিনটা কী শোক সংবাদের শুধু? অফিসে ঢুকে মাত্র কম্পিউটার ওপেন করেছে, আরো একটি শোক সংবাদ শুনে বিচলিত হলো আলী ফরিদ।

‘একটি শোক সংবাদ। একটা শোক সংবাদ। বাংলাবাজার পুস্তক ব্যবসায়ী সমিতির দপ্তর সম্পাদক, বাংলাবাজার পুস্তক ব্যবসায়ী সমিতির দপ্তর সম্পাদক, নূরে আলম হেলাল, নূরে আলম হেলাল, অদ্য দুপুর তিন ঘটিকায় ইন্তেকাল করিয়াছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। মরহুমের নামাজে জানাজা, মরহুমের নামাজে জানাজা, আগামীকল্য বাদ জোহর, সূত্রাপুর ছাপড়া মসজিদে অনুষ্ঠিত হইবে।’

নূরে আলম হেলালের আত্মার মাগফেরাত কামনা করল আলী ফরিদ। মানুষটাকে সে দেখেছে কয়েকবার, কথাবার্তা হয়নি কখনো। প্রচুর পরিমাণ হাকিমপুরী এবং ন্যাশনাল জর্দা দিয়ে পান খেতেন। বয়স সাতষট্টি হয়েছিল। স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, নাতি-নাতকুর এবং অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে মরেছেন। ফেসবুক দেখে জানল আলী ফরিদ। ফেসবুকে মানুষটার একটা হাস্যোজ্জ্বল ছবি দিয়েছে। কেন?

বাংলাবাজার শোকগ্রস্থ হলো নূরে আলম হেলালের মৃত্যুতে। মার্কেট, দোকানপাট সব বন্ধ দিয়ে দিল। মান্নান মার্কেট থেকে নেমে ক্যাফে কর্ণারে একটা ক্রাম চপ আর এক কাপ চা খেল আলী ফরিদ। অল্প পরিমাণ হাকিমপুরী এবং ন্যাশনাল জর্দা দিয়ে পান নিল একটা। চিবোতে চিবোতে আবার হাঁটা দিল পুরানা পল্টন লাইনের উদ্দেশে। সেই হাঁটতে হাঁটতে পুরানা পল্টন হাউজ বিল্ডিংয়ের গলিতে যখন ঢুকল এশার আজান হলো মসজিদে। ‘সংবাদ’-এর বারী ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলো রাস্তায়। দৈনিক সংবাদ-এর প্রুফ রিডার। একসঙ্গে চা খেতেই হলো তার সঙ্গে। সুখ দুঃখের কথা হলো কিছু।

‘বিয়েটা করে ফেল, বুঝেছো ফরিদ?’

বারী ভাই বললেন।

আলী ফরিদ বলল, ‘জি, বারী ভাই।’

‘সময় গেলে সাধন হবে না, বুঝেছ? বিয়ে করো, বালবাচ্চা নাও, দেখবে দিন কিভাবে চলে যায়।’

‘জি, বারী ভাই।’

এই। তাসরিন নাহার পপির কিছু ছবি আছে তার মোবাইল ফোনে, দেখতে দেখতে ঊনপঞ্চাশের দুই বিল্ডিঙে উঠল আলী ফরিদ। দরজা খুলবে ঘরের, চাবি হাতড়াচ্ছে, মাইক বেজে উঠল মহল্লার মসজিদের।

‘একটি শোক সংবাদ। একটি শোক সংবাদ। ঊনপঞ্চাশের দুই পুরানা পল্টন লাইনের মেসমেম্বার আলী ফরিদ, মেসমেম্বার আলী ফরিদ, অদ্য সন্ধ্যা ছয় ঘটিকায় ইন্তেকাল করিয়াছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহিরাজেউন। মরহুমের নামাজে জানাজা অদ্য বাদ মাগরিব, এলাকার বায়তুন নূর মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হইবে। বায়তুন নূর মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হইবে।’

আলী ফরিদ বলল? আলী ফরিদ?

ঊনপঞ্চাশের দুই বিল্ডিঙের মেসমেম্বার আলী ফরিদ?

সে?

হ্যাঁ।

আলী ফরিদ মারা গেছে আজ সন্ধ্যা ছয়টায়।

এখন?

দরজাটা খুলতে পারছে না সে। চাবিটা পাচ্ছে না।

Recent Posts

Leave a Comment