রাজশাহী মহানগরীতে আড়াই বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের স্বীকারোক্তি দিয়েছে মামুনুর রশীদ ওরফে শান্ত (১৫) নামে এক কিশোর।
পুলিশের জেরার মুখে সে তার অপরাধ স্বীকার করে। পরে রোববার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়। শান্ত আদালতেও তার অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
শুক্রবার বিকেলে নগরীর অক্ট্রয় মোড় এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে গভীর রাতে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে শান্তকে গ্রেপ্তার করে মতিহার থানা পুলিশ।
এর আগে রাতেই তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন পাশবিক নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর মা।
অভিযুক্ত শান্ত নগরীর অক্ট্রয় মোড় এলাকার টিনসেডের একটি ভাড়া বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকত। তবে তার বাবা থাকেন জেলার তানোর উপজেলায় গ্রামের বাড়িতে। শান্ত স্থানীয় একটি খাবারের হোটেলের কর্মচারী হিসেবে কাজ করত।
পুলিশ জানিয়েছে, শান্ত যে বাড়িতে ভাড়া থাকে, সে বাড়িরই ভাড়াটিয়া নির্যাতিত শিশুটির পরিবার। ঘটনার সময় ঘরে একা পেয়ে শান্ত শিশুটিকে যৌন নির্যাতন করে। এ সময় শিশুটি কান্না শুরু করলে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে যান। তখন শান্ত পালিয়ে যায়। পরে শিশুটির মা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নগরীর মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মেহেদী হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নির্যাতিত শিশুটি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) আওতায় ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।
ওসি আরো জানান, অভিযুক্ত শান্ত তার অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তাই তার রিমান্ড আবেদনের কোনো প্রয়োজন হয়নি। শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলেই আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।