চাঁদপুরে ভরা মৌসুমে ইলিশ নেই!
চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
ইলিশের ভরা মৌসুমেও চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা নদীতে কাঙখিত ইলিশ পাচ্ছে না জেলেরা। জেলেরা নদীতে গেলেও ট্রলারের জ্বালানী খরচ তুলতেই হিমশীম খেতে হচ্ছে। ঋণের বোঝাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে এক প্রকার মানবেতর জীবন যাপন করছেন চাঁদপুরের প্রায় ৪১হাজার জেলে পরিবার। ইলিশ গবেষকদের দাবি কিছু দিনের মধ্যেই প্রত্যাশা মতো ইলিশ পাবেন জেলেরা
চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব দক্ষিণ ও উত্তর উপজেলার ৪১ হাজার ১শ ৮৯ জন জেলে ইলিশের ভরা মৌসুমে ইলিশ না পাওয়ায় একপ্রকার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদের দাবি তারা কাঙ্খিত পরিমাণে ইলিশ পাচ্ছে না। যা পাচ্ছে যা তা দিয়ে প্রতিদিনের ট্রলার বা নৌকা খরচই উঠে না। যে কারণে তাদের ঋণা বোঝা ভারি হচ্ছে দিনদিন।
মাঝি ইউসুফ মাঝি, আব্দুর রহিম, রহমত শেখ জানান, সরকারের দেয়া প্রত্যেকটা কর্মসূচি আমরা পালন করি। এখন নদীতে মাছ পাই না। আগস্ট সেপ্টম্বর ইলিশের ভরা মৌসুম অথচ ভরা মৌসুম চললেও ইলিশের দেখাই মিলছে না। প্রতি জেলে নৌকায় যা পাওয়া যাচ্ছে তা অতি নগণ্য। নৌকার জ্বালানী ও জেলেদের পকেট খরচই মিটে না। এদিকে সংসার চালাতে গিয়ে ঋণের বোঝা আরো বড় হচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে অন্যান্য সময় ইলিশ কম পেলেও আগস্ট সেপ্টম্বরের মাছ দিয়ে আগের ঋণ শোধ করতে পারতাম। এবার কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।
শুধু জেলে নয় চাঁদপুরের আড়ৎদারও আছেন লোকসানের মুখে। জেলেদের লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়ে আড়ৎদাররাও একপ্রকার দিশেহারা। চাঁদপুর সদর উপজেলার আড়ৎদার আবদুল কাদির মাঝি, বিল্লাল মাঝি জানান, জাউল্লারা মাছ না পাইলে সবারই ক্ষতি। সাগরে মাছ পাওয়া যায় কিন্তু চাঁদপুরের নদীতে মাছ নাই। প্রতিদিন ৫-৭শ টাকা আড়ৎদারি হয় না।
মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুর এর ইলিশ গবেষক ডাঃ আনিছুর রহমান জানান, গত বছরের চেয়ে এবছর প্রায় ১২হাজার কোটি জাটকা পরিনত বা জনতা যুক্ত হয়েছে। সাগরে ইলিশ ধরা পড়লেও নদীতে অনেক কম। হতাশ হওয়ার কিছু নেই শীঘ্রই প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন এই ইলিশ গবেষক।
তিনি আরো বলেন, এবছর জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি প্রায় শতভাগ সফল হয়েছে। তাই এবছর নতুন করে ৪১ হাজার কোটি জাটকা ইলিশ জনতায় যুক্ত হতে পেরেছে। গত বছর যা ছিলো ২৯ হাজার কোটি।