ভারতে পাচারকালে শিশুসহ ৩৫ জন আটক
কুড়িগ্রাম সংবাদদাতাঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতে পাচারের সময় নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বালারহাট বাজারে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আটককৃতরা উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে পুলিশ ও বিজিবির তত্বাবধানে রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, পাচারকারি দালাল আফাজ উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম শফি ও বিঞ্চু ওনসব নারী শিশু ও পুরুষদের ভারতে পার করে দেয়ার কথা বলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভারত গমনচ্ছুকদের জনপ্রতি চার হাজার টাকা নেয়, অত:পর গত দুইদিন ধরে সীমান্তের ৯৩৪ আন্তর্জাতিক পিলালের কাছে তাদের জড়ো করে। সীমান্ত এলাকা খলিশাকোটাল ও বালাতাড়ী দিয়ে তাদের পাচার করার কথা ছিল।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী পাচার হতে যাওয়ার নারী পুরুষ ও শিশু উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে আটককৃতরা পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তবে দালালেরা পালিয়েছে, তাদের খোঁজা হচ্ছে। পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার ছোট বাদ্দুরা গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে আছমা খাতুন (১৯), খুলনার গোবরচাকা গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী রহিমা বেগম (৪৫), অলি শেখের স্ত্রী মহিমা বেগম(৩৮), ছেলে মাহিম(৫), মোড়লগঞ্জের ইয়াছিন আলীর স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৭), মেয়ে লামিয়া (৬) মোড়লগঞ্জ উপজেলার কেচমত জামুয়া গ্রামের শাহিন আখন্দের স্ত্রী আছমা বেগম (৩৫), ছেলে ইয়াছিন (৩), খলিল শেখের স্ত্রী শাহিদা বেগম(৪০), ছেলে শিপন(১১), মেয়ে ছাদিয়া(৬), জিয়ানগর উপজেলার উত্তর বালারণ গ্রামের বাহার আলীর স্ত্রী রাজিয়া বেগম(৩২), মেয়ে আজমিরা (৪), সুনামগঞ্জ উপজেলার আলমপুর গ্রামের আলী হায়দারের স্ত্রী আক্তাবুল বেগম (৪৫), সুনামগঞ্জ জেলার হানুয়ারপুর গ্রামের মৃত হাসন আলীর ছেলে মাসুদ মিয়া(৩০), বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার কিছমত জামুয়া গ্রামের আউয়ালের ছেলে মামুন (২০), মোড়লগঞ্জ উপজেলার বড় বাদুরা গ্রামের কুদ্দুস কবিরাজের ছেলে সরওয়ার হোসেন (৩৪), বাগের হাট জেলার কাঠাল গ্রামের ছাত্তালের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (২৫), জিয়ানগর উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত মজিদের ছেলে ফারুক (২৬), সুনামগঞ্জ উপজেলার রামেশ্বাপুর গ্রামের মোকলেছ হোসেনের ছেলে জালাল হোসেন (২০), একই গ্রামের আ. বাহারের ছেলে আবুল বাশার (১৯), ওই গ্রামের মৃত মফিজ আলীর ছেলে শফিকুর রহমান (৪৭), একই উপজেলার লালপুর গ্রামের এসকেন্দার আলীর ছেলে জুহের আলী (১৯), আলমপুর গ্রামের আলী হ্য়দারের ছেলে মনওয়ার হোসেন (২০), মোড়লগঞ্জ উপজেলার কেচমত জামুয়া গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে সাইদুল খান (২১), তেলীগাতি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মাহবুব আলম (৩০), বারাইখালী গ্রামের মৃত ইসমাইল শেখের ছেলে জালাল শেখ (২৮), সানকি ভাঙ্গা গ্রামের আউয়াল গাজির ছেলে আজিজুল গাজি (২০), সুনামগঞ্জ হবতপুর গ্রামের মৃত সুক্কুর আলীর ছেলে মহাম্মদ আলী (৪৫), একই গ্রামের রহমানের ছেলে তাজুল (২০), একই উপজেলার লালপুর গ্রামের আছত আলীর ছেলে দবির হোসেন (২০), ইসলামপুর গ্রামের ইদ্দি মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৮), ঘেঘর গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে মাইনুদ্দিন (১৯), সিলেটের মংলা বাজার উপজেলার ছিলামঘড়ারিয়া গ্রামের মৃত আত্তর আলীর ছেলে মনজুর আহম্মেদ (২৭), জিয়ানগর উপজেলার উত্তর কলার গ্রামের মৃত হাসেন আলীর ছেলে বাহার আলী খান (২৬)।