স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় বেধড়ক পেটালেন প্রধান শিক্ষক!

 In কচুয়া উপজেলা, প্রধান খবর, লিড নিউজ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের কচুয়ায় একটি বেসরকারি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোঃ রবিউল (১২) নামে এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটালেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ছোবহান গাজী। বিদ্যালয়ে না আসায় পুরো শরীরে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছেন তিনি। লাঠির আঘাতে পুরো শরীরে মারাত্মক যখম হয়েছে শিশুটির। আঘাতের স্থানগুলো ফুলে কালো হয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুর ১২টায় কচুয়া উপজেলার ৯নম্বর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসাবাড়িয়া হাসান আলী স্কুলে। রবিউল বাসাবাড়িয়া গ্রামের রিক্সা চালক মোঃ মানিক মিয়ার ছেলে। মা পাখি বেগম অন্যের বাড়িতে ঝি’র কাজ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রবিউলের পরিবারের সদস্যরা জানান, অসুস্থ্য থাকায় রবিউল একদিন স্কুলে যায়নি। এ অজুহাতে সোমবার দুপুরে নির্দয় ভাবে রবিউলের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায় প্রধান শিক্ষক মোঃ ছোবহান গাজী। ছেলে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে স্কুলের পাশেই বাড়ি নিয়ে আসা হয়। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এরআগেও এ পাষন্ড শিক্ষক ছোবহান একই এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে হাছানাত ও রাব্বি, ঈসমাইল হোসেনের ছেলে সবুজ ও মোবারক হোসেনের ছেলে হাবিবকে নির্মম ভাবে নির্যাতন চালায়। সাবেক স্থানীয় মেম্বার সেলিম মিয়ার কাছে বিচার দিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
ছেলের চাচা সোহাগ মিয়া জাানন, আমার ভাতিজা সাদা অংক খাতা না নিয়ে যাওয়াতে সে এমন নির্মম নিার্যতন চালাবে এ কেমন কথা? উন্নত চিকিৎসার জন্যে রবিউলকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা এঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি। এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মানিক মিয়া জানান, এভাবে ছোবহান গাজী নিয়মিত কোনো না কোনো শিক্ষার্থীর উপর নির্দায় আচরণ করেন। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল বিধায় কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।
তবে তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কচুয়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকতর্অ মোঃ আনিছুর রহমান জানান, স্কুলে না আসা কিংবা অন্য যে কোনো কারণে কোনো শিক্ষার্থীকে এভাবে নির্যাতন করতে পারেন না। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত ভাবে অবগত করছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক সোবহান গাজী জানান, টিও এটিও স্কুলে এসেছে। বিষয়টি মিমাংশা করার চেষ্টা চলছে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত সৈয়দ মাহাবুবুর রহমান জানান, আমি এখনো বিষয়টি জানি না। অভিযোগ পেলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Recent Posts

Leave a Comment