তারামন বিবি গুরুতর অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি

 In প্রধান খবর

নিউজ ডেস্ক:

বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

দীর্ঘদিনের শ্বাসকষ্ট-কাঁশি এবং মাথা-পিঠ ব্যথার কারণে গত সাত দিন ধরে অচল হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

অবস্থা গুরুতর হলে শুক্রবার তাকে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার কাচারীপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে রংপুরের সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

তারামন বিবির ছেলে তাহের যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন,গতরাতে মায়ের শরীরের অবস্থার অবনতি হলে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা তাকে রংপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

এরপর শুক্রবার তাকে রংপুর সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে দ্বিতীয় তলায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।

রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাউজুল কবীর বলেন, তারামন বিবির শরীরের অবস্থার অবনতি হওয়ায়  জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

বর্তমানে তারামন বিবি রংপুর সিএমএইচ হাসপাতালের  দ্বিতীয় তলায় আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।

শুক্রবার সকালে রাজীবপুরের কাচারীপাড়ায় তার বাড়িতে  যুগান্তরকে তারামন বিবি বলেন, মাঝে মাঝে মনে হয় আমার সময় শেষ হয়ে আসছে। শরীরের যা অবস্থা। শ্বাস নিতে পারি না। যখন কাশি ওঠে মনে হয় দুনিয়াত আর নেই আমি। মাথাব্যথা করে। সারা পিঠ যেন জ্বলে। উঠে দাঁড়াতে পারলেও হাঁটতে পারি না।’

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন থেকে খুবই কষ্টের মধ্যে বেঁচে আছি। তিনবেলা ওষুধ খাওয়ার পরও অসুখের কোনো উন্নতি দেখছি না।

এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, রংপুর সিএমএইচ কর্তৃপক্ষকে অসুখের কথা জানানো হয়েছে। তারা আমাকে যেতে বলছেন। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে রংপুরে যাওয়াটাই আমার কষ্ট। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো নয়।

তিনি জানান, এর আগে পুরো জানুয়ারি মাস ওই হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন। সেখানে কিছুটা সুস্থতা বোধ করেছন। তারপর ৩১ জানুয়ারি বাড়ি ফিরে আসেন।

জানা গেছে, বাড়ি ফেরার পর অসুস্থ তারামন বিবিকে চিকিৎসা ও নিয়মিত খোঁজখবর নেন রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা।

হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানে তার শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশিটা অনেক বেড়ে গেছে। আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি।

তিনি বলেন, হাসপাতালের অক্সিজেন সিলিন্ডার উনার বাড়িতে দিয়েছি। যখন শ্বাসকষ্ট দেখা দেবে তখন অক্সিজেনের সহযোগিতা নেবেন। তাছাড়া ফোন করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ছুটে যাই তার বাড়িতে।

সব মিলে তারামন বিবির অবস্থা খুব একটা ভালো নয় বলে জানান ডা. দেলোয়ার হোসেন।

তারামন বিবির স্বামী আব্দুল মজিদ বলেন, রাজীবপুর হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রতিদিন একবার করে বাড়িতে এসে চিকিৎসা দেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে তার শরীরের যে অবস্থা তা এর আগে হয়নি। দিনরাত বিছানায় শুয়ে বসে থাকতে হয়।  আর বিছানা থেকে ধরে উঠানামা করাতে হয়।

Recent Posts

Leave a Comment