চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে রাতেও যাত্রী স্রোত!

 In দেশের ভেতর, প্রধান খবর

 

চাঁদপুর প্রতিনিধি

ধারণ ক্ষমতার চাইতে অনেক বেশী যাত্রী নিয়ে রাতেও ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর নৌ-টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাচ্ছে বিলাস বহুল লঞ্চগুলো। বসে কিংবা দাঁড়িয়ে যাওয়ার মত কোন অবস্থান না পেয়ে অনেক যাত্রী নেমে যাচ্ছে অন্য লঞ্চে। কিন্তু সব লঞ্চেরই একই অবস্থা। আবার কেউবা অনেক কষ্টে দাঁড়িয়ে আছেন মালপত্র নিয়ে। লঞ্চগুলো ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়ের দুই ঘন্টা পূর্বেই ভরপুর যাত্রী। তাই আগের মত ছেড়ে যাওয়ার সময় হরণ বাঁজানোর প্রয়োজন হয় না।

গত মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে যাত্রীদের এ চিত্র দেখা গেছে। এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চের নীচতলায় শতাধিক আসন থাকলেও লঞ্চের ডেকে রয়েছে কমপক্ষে ৫শতাধিক যাত্রী। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় কেবিন এর সামনে খালি জায়গায় হাঁটার মত অবস্থা নেই। যেখানে খালি জায়গা রয়েছে সেখানেই যাত্রী। নিয়মানুযায়ী ৭/৮শ যাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও লঞ্চের নীচতলায় এ পরিমান যাত্রী দেখা গেছে। অবশেষে রাত ১২.১৫ মিনিটে লঞ্চটি অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঢাকার পথে ছাড়ে।

একই অবস্থায় এমভি ইমাম হাসান-২ লঞ্চেও। ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ১১.১০মিনিট। নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই যাত্রী ভরপুর হওয়ায় ঘাট ছেড়ে যায়। এর পূর্বে সন্ধ্যা ৬.১৫ মিনিটে এমভি ইমাম হাসান, এমভি মিতালী-৪ রাত ৯টা ৪০মিনিটে, এমভি বোগদাদিয়া-৫ রাত সোয়া দশটায়, এমভি আব-এ জম জম-১ রাত ১০টা ৪০মিনিটে ছেড়ে যায়। সর্বশেষ রাত পৌনে ১টায় ময়ূর-২ লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁদপূর ঘাট ত্যাগ করে। প্রতিটি লঞ্চেই একই অবস্থা দেখা গেছে।

হাজীগঞ্জ থেকে আসা যাত্রী মজিবুর রহমান বলেন, লঞ্চঘাটে আসার পরে কোন কেবিন কিংবা প্রথম শ্রেনীর টিকেট পাওয়া যায় না। এক যাত্রী না আসার কারণে প্রথম শ্রেনীর একটি টিকেট পেয়ে লঞ্চে উঠলাম।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা যাত্রী আমেনা বেগম বলেন, থাকেন ঢাকা বসন্ধুরা আবাসিক এলাকায়। ছেলের ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য আগ থেকেই রওয়ানা হলাম। কিন্তু লঞ্চে বসার স্থানও পাইনি। তাই টার্মিনালে দাঁড়িয়ে আছি ছেলেসহ পরিবারের ৫ সদস্যকে নিয়ে। কোন লঞ্চে যেতে পারবো জানি না।

চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালের লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি আলী আজগর সরকার বলেন, দিন রাতে যাত্রীদের ভীড় একই রকম। তবে অনেক বেশী যাত্রী হওয়ায় স্পেশাল লঞ্চেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এরপরও অনেক সময় বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত যাত্রী নিতে হচ্ছে।

বিআইডাব্লিউটিএ চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাতেও যাত্রীদের প্রচুর পরিমান ভীড় রয়েছে। আগামী শুক্র ও শনিবার পর্যন্ত যাত্রীদের চাপ থাকবে। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের সব রকমের ব্যবস্থা রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক ঘাটে দায়িত্ব পালন করছেন।

Recent Posts

Leave a Comment