ধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ স্বাস্থ্যকর্মীরা
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া জাতিসংঘের স্বাস্থ্যকর্মীরা ধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছেন। জাতিসংঘ চিকিৎসকদের পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীরা বলছেন, কয়েক ডজন নারী মারাত্মক যৌন হামলার শিকার হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের বর্ণনা ছাড়াও কিছু মেডিকেল নোট দেখেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে করে ধর্ষণের অভিযোগগুলো আরো বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রহীন সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নারীরা যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে গণধর্ষণের অভিযোগ করেছে বার বার। মিয়ানমারের কর্মকর্তারা এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দাবি করেছে, এগুলো তাদের সামরিক বাহিনীকে হেয় করার জন্য অপপ্রচার। জাতিসংঘ আখ্যায়িত জাতিগত নিধনযজ্ঞকে তারা বিদ্রোহ নির্মুলের বৈধ অভিযান বলেও দাবি করেছে। এদিকে, মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সুচি’র মুখপাত্র জ হতে বলেছেন, তাদের কাছে উপস্থাপন করা যে কোন অভিযোগ তদন্ত করবে কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার নারীদের আমাদের কাছে আসা উচিত। আমরা তাদের পূর্ণ নিরাপত্তা দেবো। আমরা তদন্ত করবো এবং পদক্ষেপ নেবো। সুচি নিজে এখনও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অসংখ্য অভিযোগ নিয়ে কোন মন্তব্য করেন নি। রাখাইনে নতুন করে শুরু হওয়া সামরিক অভিযানের পর ২৫শে আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত আনুমানিক ৪ লাখ ২৯ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে আশ্রয় নিয়েছে। কক্সবাজার জেলায় আট জন সাস্থ্য ও সুরক্ষা কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। তারা জানিয়েছেন, আগস্টের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত তারা ২৫ জনেরও বেশি ধর্ষণের শিকার নারীকে চিকিৎসা দিয়েছেন। তারা বলেছেন, তাদের রোগীদের সঙ্গে কি ঘটেছে তা সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিষ্ঠা করা তাদের লক্ষ্য নয় তবে, তারা কয়েক ডজন নারীর শরীরে এমন সব লক্ষণ দেখেছেন যা নির্যাতনের বিভিন্ন বর্ননার সঙ্গে স্পষ্ট সঙ্গতিপূর্ণ। রয়টার্সের খবরে আরো বলা হয়, জাতিসংঘের ডাক্তারদের তরফে কোন রাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আসাটা বিরল।