পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই করবে বাংলাদেশ
পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই করবে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সই করবেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘ট্রিটি অন দ্য প্রহিবিশন অব নিউক্লিয়ার ওয়েপনস’ স্বাক্ষরের প্রস্তাবের খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ করার ট্রিটিতে ১২২টি দেশ সমর্থন জানিয়েছে, আমাদের দেশও এর মধ্যে আছে। এই ট্রিটি স্বাক্ষরের জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। আগামী ৭২তম অধিবেশন যখন চলবে তখন সুবিধাজনক সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘের মহাসচিব চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। এছাড়া বিমান চলাচল নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য চুক্তির খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। শফিউল আলম বলেন, দুই দেশের বিমান চলাচল নিয়ে এই চুক্তিটি পুরনো। চুক্তিটি ১৯৮৮ সালের ৩০শে মার্চ থেকে চলে আসছে। সংজ্ঞা ও শর্তে কিছু পরিবর্তন এনে এটাকে নতুনভাবে করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রত্যেক দেশ একাধিক বিমান সংস্থাকে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য মনোনয়ন করতে পারবে। চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করলে যেকোনো দেশ চুক্তি বাতিল করতে পারবে। দুই দেশের বিমানমন্ত্রী সংশোধিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। তিনি বলেন, ২০০৬, ২০০৭, ২০১১ সালে চুক্তিটি সংশোধন করা হয়। ২০১৭ সালের প্রস্তাবিত সংশোধন অনুযায়ী, চুক্তিটি বাংলা ও আরবি ভাষায় অনুবাদ করা হবে এবং দুই দেশের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থার বাইরেও অন্য সংস্থাগুলোকে বিমান চলাচলে অনুমতি দিতে পারবে কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে সরকারের প্রস্তুতির বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। এসডিজি বাস্তবায়নে আমাদের অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক। ১৭টি লক্ষ্য সম্পর্কে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। বাংলাদেশ এসডিজি অর্জনে ভালো করবে। কারণ এ সম্পর্কে আলাদা একটি বই প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। যা অন্য কোনো দেশ করেনি। তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ভলান্টারি ন্যাশনাল রিভিউ রিপোর্ট আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে দিয়েছি। ৪২টি দেশের মধ্যে আমরাও ছিলাম। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের কাজটি (এসডিজি অর্জন) অনেক এগিয়ে গেছে। এছাড়া সরকার এসডিজি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি আলাদা দপ্তর করেছে। যেখানে চিফ কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করা হয়েছে। মন্ত্রিসভায় কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বারের মৃত্যুতে একটি শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভা বৈঠকের শুরুতেই একটি শোক প্রস্তাব গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০শে আগস্ট মারা যান স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী আবদুল জব্বার। পাঁচ দশকের বেশি সময় বাংলাদেশের গানের ভুবনে আলো ছড়ানো দরাজ কণ্ঠের এই শিল্পীর দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি তিনি হৃদযন্ত্র ও প্রোস্টেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। আবদুল জব্বার স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদক ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।