প্রথম বিশ্বযুদ্ধের জার্মান সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ ও ২৩ লাশ উদ্ধার

 In দেশের বাইরে, প্রধান খবর

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কার জার্মান সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলল বেলজিয়াম উপকূলে।

যুদ্ধের জন্য তৈরি ওই ইউ-বোট সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল প্রায় ১০০ বছর আগে।

উত্তর সাগরের প্রায় ২৭ মিটার গভীরে ওই ইউ-বোটটির সন্ধান পেল নৌসেনারা। বোটের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৩ জন নাবিকের দেহাবশেষ।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়, কোনো ব্রিটিশ নৌ সেনা জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বা মাইন বিস্ফোরণের ফলে ইউ-বোটটি ডুবে গিয়েছিল। তার পর প্রায় ১০০ বছর ধরে উত্তর সাগরের তলায় সেটি সংরক্ষিত ছিল। গোপনীয়তা রক্ষার জন্য উদ্ধার হওয়া ইউ-বোট সাবমেরিনটির সঠিক অবস্থান এখনও সরকারের তরফ থেকে প্রকাশ করা হয়নি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সাবমেরিনটির বেশির গ অংশই অক্ষত রয়েছে। যুদ্ধের জন্য ব্যবহৃত টর্পেডোগুলোও একই অবস্থানে রাখা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ২২ জন নাবিক এবং একজন সেনা আধিকারিক সেই সময় ওই ইউ-বোটে ছিলেন। তাদের নিয়েই ডুবে যায় বোটটি।

বেলজিয়ামের ওয়েস্ট ফ্ল্যান্ডার্স প্রদেশের গভর্নর কার্ল ডেকালুও জানান, সাবমেরিনটি এতটাই ভালো অবস্থায় রয়েছে যে, আমরা ধারণা করছি, এর ভেতরে এখনও আরোহীদের মৃতদেহ রয়ে গেছে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের চলাকালীন ১৯১৫ থেকে ১৯১৬-র মধ্যে ৩০টি ইউ-বোট সাবমেরিন করেছিল জার্মানি। তাদের মধ্যে ১৯টি ডুবে যায় উত্তর সাগরেই।

বর্তমানে উদ্ধার হওয়া সাবমেরিনটি ইউ-বুট ২৭, ২৯ বা ৩২-এর মধ্যে কোনো একটি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি অনেক বেশি উন্নত পরিকাঠামোর টাইপ-২ সাবমেরিন। ২৭০ টন ওজনের সাবমেরিনটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৭ মিটার। ৩০ থেকে ৫০ সেকেন্ডের মধ্যে জলের ৫০ মিটার গভীরতায় যেতে সক্ষম ছিল সেটি।

সাবমেরিনটি সংরক্ষণ এবং দেহাবশেষ থেকে মৃতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে বলে বেলজিয়ামের সরকারি সূত্র জানিয়েছে

Recent Posts

Leave a Comment