মুশফিকের টার্গেট বাংলাওয়াশ!
ক্রীড়া প্রদিতবেদকঃ
এবার টিম বাংলাদেশের লক্ষ্য অহংকারী অস্টেলিয়াকে বাংলাওয়াশ করা। বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ দল আজ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মূল মাঠেই আসতে পারেনি। অনুশীলন সেরেছে ইনডোরে। তবে বৃষ্টি কমার পর চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে-মুশফিকুর রহিম খুঁটিয়ে দেখে গেলেন মাঝ উইকেট। চট্টগ্রামের উইকেটও ঢাকার মতোই হবে কি না, সেটা কাল থেকেই বোঝা যাবে।
বাংলাদেশের লক্ষ্য যেহেতু অস্ট্রেলিয়াকে ধবলধোলাই করা, ঢাকার সূত্র মেনে চট্টগ্রামের উইকেটও যে স্পিনারদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেবে, না বললেও চলছে। তবে একটা ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। মিরপুরের উইকেটের চরিত্র আঁচ করতে পেরে প্রথম টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ যেমন হরহর করে একাদশ দিয়েছিলেন, চট্টগ্রাম টেস্টে সেই সাহসটা তাঁর হচ্ছে না!
অস্ট্রেলিয়া দল এই যে চাপে আছে, এটা মুশফিকের কাছে ‘নৈতিক জয়’। তবে অস্ট্রেলীয়রা যে যেকোনো পরিস্থিতিতে, যেকোনো কন্ডিশনে ঘুরে দাঁড়াতে জানে, সেটি মনে করিয়ে দিচ্ছেন মুশফিক, ‘তারা হয়তো চাপে আছে। চাপে থাকলেই যে তারা হেরে যাবে, তা নয়। অনেক পেশাদার দল। এটাও সত্যি, তারা অন্তত জেনে গেছে নিজেদের কন্ডিশনে বাংলাদেশ কতটা ভয়ংকর দল। এটা আমাদের নৈতিক বিজয়। কিন্তু এটা নিয়ে বসে থাকলে হবে না। প্রথম টেস্টে অনেক সময় অনেক চাপ জয় করে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমরা চাইব এটার ধারাবাহিকতা যেন ধরে রাখতে পারি।’
চট্টগ্রাম টেস্টের ফল যা-ই হোক, অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ হারের আশঙ্কা নেই বাংলাদেশের। তবে নিরাপদ অবস্থানে থেকে এই টেস্টে ড্র নয়, জয় চান মুশফিক। ধবলধোলাইয়ের কাজটা যে সহজ হবে না, সেটা জানেন অধিনায়ক, ‘একটা বাড়তি সুবিধা যে আমরা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছি। তবে অস্ট্রেলিয়াও শক্তিশালী দল। তারাও জানে চাপের মুখে কীভাবে খেলতে হয়। সর্বশেষ দুইটা সিরিজ যদি বলেন, আমরা পিছিয়ে থেকে সমতায় ফিরেছি। এবার আমাদের মনোযোগ ২-০ ফলের দিকে। ১-০ এগিয়ে থাকাটা সুবিধা। তবে আমাদের প্রথম থেকেই শুরু করতে হবে।’
ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশ দলের দুই পেসার বোলিং করেছেন মোট ১৫ ওভার। উইকেট পাননি একটিও। উইকেট ও প্রতিপক্ষ বিবেচনা করে চট্টগ্রাম টেস্টে এক পেসার কমিয়ে ব্যাটসম্যান বাড়ানো হবে কি না, প্রসঙ্গটা উঠল মুশফিকের সংবাদ সম্মেলনে। অধিনায়ক পরিবর্তনের ইঙ্গিতই দিলেন, ‘পরিকল্পনা তো অবশ্যই আছে। আমাদের যে ১৪জন আছে, সবারই সামর্থ্য আছে । আমাদের সবকিছুই কাভার করা আছে। কাল শেষ পর্যন্ত দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের দলের ১৪ জনই সেরা একাদশে খেলার জন্য উপযুক্ত। দলের জন্য স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা এটা।’