‘পোস্টমর্টেমের সময়ও সালমান শাহ জীবিত ছিল’

 In প্রধান খবর, বিনোদন

বাংলা সিনেমার ‘স্টাইল আইকন’ খ্যাত একসময়কার তুমুল জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহকে যখন পোস্টমর্টেম (ময়নাতদন্ত) করা হয়, তখনও তিনি জীবিত ছিলেন বলে আদালতে দাবি করেছেন তার মা নীলা চৌধুরী।

সোমবার অপমৃত্যুর মামলায় আসামি বিউটিশিয়ান রাবেয়া সুলতানা রুবির ফেসবুকের ভিডিওবার্তা সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে গ্রহণের জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে সিডি আকারে আদালতে উপস্থাপন করেন মামলার বাদী নীলা চৌধুরী। এ আবেদনের শুনানি চলাকালে এজলাসের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আদালতে তিনি এ কথা জানান।

নীলা চৌধুরী আদালতকে বলেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি। তাকে খুন করা হয়েছে। সালমানকে যখন পোস্টমর্টামের জন্য নেয়া হয়েছিল। তখন সেখানে একজন সালমানকে জীবিত দেখে বলেছিলেন সালমান এখনও মরেনি, সালমান জীবিত আছে। তখনও (পোস্টমর্টামের সময়) সালমান মরেনি, পরে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহামুদা আক্তার রুবির ভিডিও ফুটেজ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে আগামী ২০ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন। এছাড়া বাড়িতে অনধিকার প্রবেশের মামলায় গ্রেফতার হয়ে সালমানের মৃত্যুর কথা স্বীকার করা সেই আসামি রিজভি আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিরও আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।

শুনানিতে নীলা চৌধুরীর আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় অবস্থিত আসামি রুবি গত ৭ আগস্ট ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে কথা বলেন, যা এখন ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ওই ভিডিও বার্তায় রুবি বলেন, ‘সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই। সালমান শাহকে খুন করা হইছে, আমার হাজব্যান্ড এটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে। সামিরার ফ্যামিলি করাইছে আমার হাজব্যান্ডকে দিয়ে। আর সব ছিল চাইনিজ মানুষ।’

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তার মধ্যে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে শাহরিয়ার চৌধুরী ইমনের ওরফে সালমান শাহর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় এ ঘটনায় তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। পরে বাদীপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।

এরপর সিআইডি ও বিচার বিভাগীয় তদন্তে সালমানের মৃত্যু আত্মহত্যা বলে উঠে আসে। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন করেন। নারাজি আবেদনে আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন সালমান শাহর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা বলা হয়। বর্তমানে পিবিআইর ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করছেন।

Recent Posts

Leave a Comment