রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সমর্থন চাইলেন প্রেসিডেন্ট

রোহিঙ্গাদের যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে তাদের নিজস্ব আবাসভূমি রাখাইন রাজ্যে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে বৃটেনসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের অব্যাহত সমর্থন চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ। বঙ্গভবনে কনজার্ভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ (সিএফওবি)-এর নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এ সমর্থন চান। প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বাংলাদেশ অত্যন্ত ছোট একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক চরম নৃশংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে এদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।’ সাক্ষাত শেষে প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফি করেন। বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য দেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ বৃটিশ সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশিদার হিসেবে বৃটেনের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে বৃটিশ সরকার ও সেদেশের জনগণের সমর্থন এবং পরবর্তীকালে এখানে উন্নয়ন কার্যক্রমে সহায়তার কথাও অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। এ্যান মেইন এমপির নেতৃত্বাধীন নয় সদস্যের প্রতিনিধিদলটি রোহিঙ্গার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন বাস্তবধর্মী পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। এর আগে তারা কক্সবাজার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশ এলাকা এবং সেখানে অবস্থিত বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। তারা জানান, বাংলাদেশ ও বৃটিশ সরকার এবং দু’দেশের জনগণের মধ্যে সেতু হিসেবে কমর্রত সিইওবি উভয় দেশের মধ্যকার বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে সমর্থন বজায় রাখবে। প্রতিনিধিদলে আরো রয়েছেন- পাওল স্কুলি এমপি, উইল কুইন্স এমপি, সাবেক এমপি ডেভিড ম্যাকিন্টোশ ও সিএফওবি’র চেয়ারম্যান মেহফুজ আহমেদ।