আমি এই বিশেষ প্রাপ্তিতে আনন্দিত ও অভিভূতঃ অণুজীববিজ্ঞানী ড. সমীর সাহা
চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের বিশিষ্ট অণুজীববিজ্ঞানী, চাঁদপুরের কৃতীসন্তান অধ্যাপক ড. সমীর সাহাকে পুরস্কৃত করলো ইউনেস্কো। তিনি এ বছর যৌথভাবে ইউনেস্কোর কার্লস জে ফিনলে পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর সাথে পুরস্কার পেয়েছেন পাকিস্তানের অণুজীববিজ্ঞানী শাহিদা হাসিনা। আগামী ৬ নভেম্বর ইউনেস্কোর ৩৯তম সাধারণ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হবে। এ অধিবেশনে ইউনেস্কোর ১৯৫টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন। ড. সমীর সাহার বাবা চন্দ্রকান্ত সাহা চাঁদপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছিলেন। সমীর সাহা চাঁদপুর সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি চাঁদপুর সরকারি কলেজের গ্রন্থাগারিক তৃপ্তি সাহার বড় ভাই।
পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি জানতে চাইলে ড. সমীর সাহা বলেন, ইউনেস্কোর পুরস্কারপ্রাপ্তি আমার কাছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত ঘটনা। আমি ভাবতেই পারিনি আমাকে এভাবে সম্মানিত করা হবে। পুরস্কারটি কেবল আমার জন্যেই বিশেষ নয়, এটি বাংলাদেশের জন্যেও একটি বিশেষ ঘটনা। আমি এই বিশেষ প্রাপ্তিতে আনন্দিত ও অভিভূত।
তিনি বলেন, আমার গবেষণার পেছনে আমার টিম মেম্বারদের অবদান রয়েছে। আমি তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি মনে করি, এ পুরস্কারটি আমার কাজের ক্ষেত্রকে আরো সম্প্রসারিত করবে।
এই অর্জন তাঁর গবেষণা ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. সমীর সাহা অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হিসেবে ঢাকাস্থ শিশু হাসপাতালে কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, কোয়ালিশন এগেইনস্ট টাইফয়েডের (সিএটি) স্টিয়ারিং কমিটির প্রধান ও নিউমোকক্কাল এওয়ার্নেস কাউন্সিল অব এক্সপার্টসের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি শিশুদের নিউমোনিয়া ও মেনিনজাইটিসের টিকাদান কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এ পুরস্কারটি পাওয়ার আগে তিনি ক্ললিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি পুরস্কার লাভ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সাল থেকে কার্লস জে ফিনলে পুরস্কার দিয়ে আসছে ইউনেস্কো। অণুজীববিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে প্রতি বছর এ সম্মানজনক পুরস্কারটি দেয়া হয়। কিউবা সরকার এ পুরস্কারের পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে।