৫ বছর পর ম্যাচসেরা আশরাফুল
জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) চতুর্থ রাউন্ডে ফের চট্টগ্রামের বিপক্ষে ড্র করলো ঢাকা মেট্রো। ১৯তম আসরে প্রথম ম্যাচেও দু’দলের লড়াইয়ের ফলাফল ছিল ড্র। তবে এবার জয়ের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের ঢাকা মেট্রো। শামসুর রহমান শুভর সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৭৪ রানের টার্গেট দিয়ে ৬৭ রানেই চট্টগ্রামের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিল তারা। শেষ পর্যন্ত আলোর স্বল্পতার কারণে বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটে যখন ম্যাচটি শেষ হয়ে যায় তখন চট্টগ্রাম বিভাগের স্কোর ৯৭ রান হলেও হাতে চার উইকেট অক্ষত ছিল। ফলাফল তাই ড্র। ৬৬ রান ও চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছে ঢাকা মেট্রোর আশরাফুল। ৫ বছর পর এনসিএলে তিনি ম্যাচসেরা হলেন। সর্বশেষ হয়েছিলেন ২০১২ সালের লীগে। এরপর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ১০ বছরের জন্য। পরে অবশ্য শাস্তি কমানো হয়। গেল বছর তার ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে তিনি আবারো মাঠে ফিরেন। তবে এখনো তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও বিপিএলে খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আরো একবছর। তিনি বলেন, ‘ভালো লাগছে প্রায় পাঁচ বছর পর আবারো জাতীয় লীগে ম্যাচ সেরা হতে পেরে। আশা করি পারফরম্যান্সের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’ এছাড়াও খুলনায় ঢাকা বিভাগ-বরিশাল, বগুড়াতে রাজশাহী-সিলেট ও রাজশাহীতে খুলনা রংপুরের ম্যাচের ফলাফলও ড্র। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন খুলনা লীগে ৪ রাউন্ড শেষে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। রংপুর ও ঢাকা বিভাগের পয়েন্ট সমান ৮ করে।
সেঞ্চুরি বঞ্চিত মেহেদী হাসান
জাতীয় লীগে চতুর্থ রাউন্ডের প্রায় প্রতি ম্যাচে হানা দিয়েছে। এর মাঝে চলছে ব্যাট-বলের লড়াই। গতকাল রাজশাহীতে খুলনা ও রংপুরের বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছেন মেহেদী হাসান। তার ৮৮ রানের ইনিংসটি তিন অঙ্কে পৌঁছাতে পারেনি বৃষ্টির কারণে। খুলনার ডানহাতি ব্যাটসম্যান মেহেদী দ্বিতীয় রাউন্ডে ১৭৭ রানের ইনিংস খেলেন। সেবার ডাবল সেঞ্চুরি ছোঁয়া হয়নি, চতুর্থ রাউন্ডে হলো না অবধারিত সেঞ্চুরিটি! ১৩৩ বলে ১৫ চারের ইনিংস তার। তবে তার দল ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে। শেষ দিনে খেলা হয় কেবল ৩৩ ওভার। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২ রানে দিন শুরু করা খুলনা ১ উইকেটে ১৪১ তোলার পর বৃষ্টি হানা দেয়।
জুনায়েদের আক্ষেপ
ইমতিয়াজের সেঞ্চুরি
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে মাঠে প্রথম দিন কোনো খেলা হয়নি। এরপরও প্রতিদিন বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে। দ্বিতীয় দিন সিলেট টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে তারা ২২১ রান সংগ্রহ করে। জবাবে রাজশাহী মিজানুর রহমানের ১৪৩ রানের ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ৩৭০ রান করে। রাজশাহী ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৯ রান সংগ্রহ করে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল। ৮২ রানে অপরাজিত থেকে চতুর্থ দিন শুরু করেন। কিন্তু দলীয় ২৯২ রানের মাথায় জুনায়েদ আউট হয়ে যান। ১৩৬ বল খেলে ৮৯ রান করেন তিনি। এরপর ফরহাদ হোসেন ৪১ ও মাইশুকুর রহমান ২৮ রান করলে ৭ উইকেটে ৩৭০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে রাজশাহী। বল হাতে সিলেটের আবু জায়েদ ৪ উইকেট ও ইমরান আলী নেন ৩টি। তবে জুনায়েদ সেঞ্চুরি করতে না পারলেও সিলেটের হয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমতিয়াজ হোসেন। ১৩৮ রানের মাথায় সাকলাইন সজীবের বলে ফরহাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ইমতিয়াজ হোসেন। যাওয়ার আগে ১৬০ বলে ১৪টি চার ও ৪ ছক্কায় ১০৮ রান করেন।
ঢাকা-বরিশাল ম্যাচ বৃষ্টিতে ড্র
খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগ ও বরিশাল বিভাগের লড়াইয়ে শেষদিনে মাঠে একটি বলও গড়ায়নি। ঢাকা প্রথম ইনিংসে ২৫০ করেছিল। জবাবে রংপুরের সংগ্রহ ছিল ২৯৯। ঢাকার দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১১০ তোলার পর ম্যাচ বৃষ্টির জন্য বন্ধ হয়ে যায়।