চাঁদপুরে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর আলু আবাদ বিনষ্ট
চাঁদপুর প্র্রতনিধিি
গত কয়েক বছর ধরে আলুর ন্যায্য দাম পাচ্ছে না কৃষক। ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর চাঁদপুরে আলুর আবাদ অনেক কম করেছে তারা। এরপরও গত দুতিন দিন অসময়ের টানা বর্ষণে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর আবাদকৃত আলু বিনষ্ট হয়ে গেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। তাই চলতি রবি মৌসুমে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় ধস নামার আশঙ্কা করছেন খোদ কৃষি কর্মকর্তারা। তবে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পানি সেচ করে অন্য ফসল আবাদের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ বছর জেলার আট উপজেলায় ১২ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কিন্তু আবাদি জমির পানি সরতে দেরি হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে অনেক পরে মাত্র ৪ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়।
অথচ গত তিন দিনের বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে ৩ হাজার ৭৯২ হেক্টর জমির আলু আবাদ। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মতলব দক্ষিণে ২২৫০ হেক্টর। এছাড়াও চাঁদপুর সদরে ৯১২ হেক্টর, মতলব উত্তরে ২০০ হেক্টর, হাজীগঞ্জে ৩০০ হেক্টর, শাহরাাস্তিতে ৫ হেক্টর, কচুয়ায় ৫০ হেক্টর, ফরিদগঞ্জে ১৫ হেক্টর ও হাইমচরে ২০ হেক্টর জমি। টানা বৃষ্টিতে ওইসব এলাকার কিছুটা উচু স্থানের ছোট ছোট আলু গাছে পচন ধরে গেছে।
এদিকে গত বছর আলুর বাম্পার ফলন হলেও বৃষ্টির কারনে অধিকাংশ আলু ঘরে তুলতে পারেনি কৃষক। এবারও একই কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। যদিও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে গিয়ে শান্তনা ও পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
চাঁদপুর সদর উপজেলার কুমাড়ডুগি, আশিকাটি ও চানখার পুল এলাকার একাধিক কৃষক জানান, এমন অসময়ের বৃষ্টিতে নিঃস্ব হয়ে গেছেন তারা। এমতাবস্থায় সরকারি সহায়তার মাধ্যমে পুণরায় আলু আবাদের সুযোগ দেয়ার দাবি জানায় তারা।
চাঁদপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা দিল আতিয়া পারভিন জানান, ক্ষতিগ্রস্থ জমিতে আলুর বদলে ভুট্টা বা সবজি আবাদ করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তাতে কিছুটা হলেও ক্ষতি ফুসিয়ে নিতে পারবেন কৃষকরা।
এবার আলু আবাদ ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় ধস নামবে স্বীকার করে চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আলী আহম্মদ বলেন, জমি থেকে পানি সেচ করার পরামর্শ কৃষকদের দেয়া হচ্ছে। এরপরও আমরা ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাবো।