পাকিস্তানে প্রথম হিজড়াকে টিভি উপস্থাপক নিয়োগ
পাকিস্তানে প্রথমবারের মত একজন হিজড়াকে টেলিভিশনের উপস্থাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সাংবাদিকতায় স্নাতক করা মার্ভিয়া মালিক দীর্ঘদিন দেশটিতে মডেল হিসেবেও কাজ করছেন।
টিভি উপস্থাপক হিসেবে নিয়োগের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর কেঁদেছিলেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
তিন মাস প্রশিক্ষণ দেয়ার পর টিভি চ্যানেলটি গত শুক্রবার মার্ভিয়া মালিকের উপস্থাপনায় একটি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে।
হিজড়ারা পাকিস্তানে নানা বৈষম্যের শিকার। বিশেষ করে কাজ পেতে তাদের খুবই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। ফলে অনেকেই ভিক্ষা, নাচ ও বেশ্যাবৃত্তির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনে বাধ্য হন।
মার্ভিয়া মালিক জানান, চাকরি নিশ্চিতের খবরে তিনি আনন্দে চিৎকার করতে চেয়েছিলেন। অবশ্য সেদিন তিনি অনেক কেঁদেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি নিজের জন্য যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, তা অর্জনের জন্য প্রথম সিঁড়ি পার হলাম।’
তার এই চাকরি পাওয়া দেশটির হিজড়াদের কর্মসংস্থানে সহযোগিতা করবে বলেও জানান মার্ভিয়া মালিক।
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবার জানে, আমি মডেল ও সংবাদ উপস্থাপিকার কাজ করছি। এখন যুগটা সোশ্যাল মিডিয়ার, এর বেশি কিছু তারা জানে না। কিন্তু, এখন পর্যন্ত তারা আমাকে স্বীকার করেনি।’
টিভি চ্যানেলটির মালিক জুনায়েদ আনসারি জানান, লিঙ্গ বিবেচনায় নয়, মার্ভিয়াকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মার্চ মাসের শুরুতে পাকিস্তানের সিনেট হিজড়াদের অধিকার রক্ষায় প্রস্তাবিত একটি বিলে সম্মতি দেয়। এতে তাদের লিঙ্গ পরিচয় দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালের জুনে আলিশা নামে ২৩ বছরের এক হিজড়া আন্দোলনকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। তার শরীরে আটটি গুলি লেগেছিল।
হাসপাতালে নেয়ার পর দেরিতে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার কারণে তিনি মারা গিয়েছিলেন। আলিশার বন্ধুতের ভাষ্যে, সে সময়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না, তাকে নারী না পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হবে