কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ চলছে। রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনায় বসার কথা দিলেও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে।
আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবন ঘেরাও ও হামলা চালালে সেখানে উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদেরকে ধাওয়া দেয়। এসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করতে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত সংখ্যা শতাধিক ছড়িয়ে গেলে আন্দোলনকারীরা আবারও রাস্তায় নেমে আসে। এসময় এক ছাত্রের নিহতের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। যদিও সেই ছাত্রটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুস্থ্য থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত করেন। রাত বাড়্তে থাকলে আন্দোলনকারীদের সাথে যোগ দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ছাত্রীরা। তারা হলের ভেতরে বিক্ষোভ চালিয়ে গেলেও এক পর্যায়ে মূল ফটলের তালা ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে। রাস্তায় নেমে মিছিল এবং ছাত্রলীগের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ১০ ছাত্রী আহত হবার কথা জানা গেছে।
একপর্যায়ে ঢাবি ভিসির বাসভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগ চালায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগ-পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।
এর আগে, কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় সরকার, রাত দেড়টার দিকে ঢাবি ক্যাম্পাসে গিয়ে এমনটা জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। সেইসাথে আটককৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি দেয়া হবে বলেও তিনি জানান